Satyapal Malik: পুলওয়ামায় কেন্দ্রের ব্যর্থতা নিয়ে সরব প্রাক্তন রাজ্যপালের দুয়ারে সিবিআই
মালিক জানিয়েছেন, ‘তারা কিছু বিষয়ে স্পষ্ট করতে চায় যার জন্য তারা আমার উপস্থিতি চায়। আমি রাজস্থানে যাচ্ছি তাই আমি তাদের ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিলের তারিখ দিয়েছি যখন আমি থাকব’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার বিপাকে সত্য পাল মালিক। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং অন্য চারটি রাজ্যের জন্য বিজেপি-নিযুক্ত রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকে ডেকে পাঠিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তও সংস্থা সিবিআই। 'আমি কিছু মানুষের অপকর্ম ফাঁস করে দিয়েছি। হয়তো সেকারণেই ডাক এল। আমি ভয় পাই না', 'টুইট করলেন সত্যপাল।
কিছুদিন আগেই একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে জাতীয় সুরক্ষা এবং দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যবহার করা পদ্ধতির বিষয়ে অনেকগুলি তথ্য প্রকাশ করেছিলেন সত্যপাল। দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ২৮ এপ্রিল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিল্লিতে সিবিআইয়ের অফিসে যাবেন।
জানা গেছে যে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ইস্যুতে তাঁকে 'প্রশ্ন করা' হবে। অভিযোগ উঠেছে স্কিমটি মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর থাকাকালীন তাঁকে পাস করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন আরএসএস এবং বিজেপি নেতা রাম মাধব। অন্যদিকে মালিক এটি বাতিল করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Godhra Train-Burning Case: গোধরা হিংসা মামলার সুপ্রিম শুনানি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জামিন
১৪ এপ্রিল, একটি একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মালিক। যেখানে তিনি বিশেষভাবে এই চুক্তির কথা বলেছিলেন। মালিক বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা রাম মাধব, তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নরের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করেছিলেন রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের প্রস্তাবিত একটি প্রকল্প পাস করার চেষ্টা করার জন্য। মালিক তখন স্পষ্ট করে বলেন যে স্কিমটি বাতিল করা হয়েছে এবং কাগজপত্রের কাজ শেষ হয়েছে। মালিক জানিয়েছেন এই ঘটনায় মাধব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
এই সাক্ষাৎকারের আগেও অন্য একটি সাক্ষাৎকারে মালিক এই ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেটি প্রচার হওয়ার পর রাম মাধব মালিককে মানহানির নোটিশ পাঠান।
গত বছরের এপ্রিলে, CBI জম্মু ও কাশ্মীরের কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ২,২০০ কোটি টাকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি গ্রুপ মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স স্কিমের চুক্তি এবং বেসামরিক কাজের চুক্তিতে মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুটি এফআইআর দায়ের করে।