আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু সঞ্জয়ের
ছ`বছর আগে বিচারক প্রমোদ দত্তারাম কোড়ের নির্দেশে তাঁর গলা থেকে খুলে গিয়েছিল মুম্বই বিস্ফোরণে চক্রান্তের অভিযোগ আর টাডা মামলার ফাঁস। এবার কী সুপ্রিম কোর্ট অস্ত্র আইনের ছ`বছরের সাজা থেকে মুক্তি দেবে মুন্নাভাইকে? `গান্ধীগিরি`র শ্রষ্ঠাকে ঘিরে দেড় যুগের এই উত্কণ্ঠার অবসান এবার হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে।
ছ`বছর আগে বিচারক প্রমোদ দত্তারাম কোড়ের নির্দেশে তাঁর গলা থেকে খুলে গিয়েছিল মুম্বই বিস্ফোরণে চক্রান্তের অভিযোগ আর টাডা মামলার ফাঁস। এবার কী সুপ্রিম কোর্ট অস্ত্র আইনের ছ`বছরের সাজা থেকে মুক্তি দেবে মুন্নাভাইকে? `গান্ধীগিরি`র শ্রষ্ঠাকে ঘিরে দেড় যুগের এই উত্কণ্ঠার অবসান এবার হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে।
মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে ৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ সংশ্লিষ্ট অস্ত্র মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হচ্ছে। বেআইনি ভাবে একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং একে-৫৬ রাইফেল রাখার অভিযোগে ১৯৯৩ সালেই গ্রেফতার হন সঞ্জয় দত্ত। প্রায় ১৬ মাস জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান সুনীল-নার্গস তনয়। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ের বিশেষ সন্ত্রাস দমন আদালতের বিচারক প্রমোদ কোড়ে মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় সঞ্জয়কে। কিন্তু টাডা থেকে বাঁচলেও অস্ত্র আইনের ৩, ৭ এবং ২৫(১-এ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হন বলিউডের `খলনায়ক`। ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই বিচারক কোড়ে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ নাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনান সঞ্জয়কে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জেল হেফাজতে কাটানো ১৬ মাসের মেয়াদ এই সাজার অন্তর্গত হবে।
প্রথমে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল ও তার পর পুনের ইয়েরওয়াড়া কারাগারে ২০ দিন কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুক্তি পান সঞ্জয়। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ ১২ বছর জামিনে থাকাকালীন ইম্পিরিয়ল হাইট্স-এর বাসিন্দার `বিচারব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য`কে স্মীকৃতি দিয়ে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে। এবার সঞ্জু বাবার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার চূড়ান্ত শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে।