হিন্দুত্বকে টার্গেট করতেই আমার উপর অত্যাচার চালানো হয়, দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার
তাঁর দাবি, জেলে তাঁকে টানা ২৪ দিন মারধর করা হয়। তাঁকে জল ছাড়া আর কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি। মারধরের সময় গালিগালাজ করা হত। বেল্ট দিয়ে মারা হত। উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হত। পোশাক খুলে নিয়ে হুমকি দেওয়া হত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে। বৃহস্পতিবার তিনি দলের কর্মীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা এদিন জেলে তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
তাঁর দাবি, জেলে তাঁকে টানা ২৪ দিন মারধর করা হয়। তাঁকে জল ছাড়া আর কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি। মারধরের সময় গালিগালাজ করা হত। বেল্ট দিয়ে মারা হত। উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হত। পোশাক খুলে নিয়ে হুমকি দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: আয়কর-সিবিআই তদন্তে নাজেহাল হয়েই বিজেপি অফিসে জুতো-হামলা শক্তির
তাঁর দাবি, শুধু মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হত না। মারের জেরে তাঁর সারা শরীরে দাগ হয়ে যেত রক্ত বেরোত। তখন নুন জল গরম করে এনে তাতে হাত ডুবিয়ে দেওয়া হত। কিছুক্ষণ পর ফের মারধর করা হত।
এভাবে মারধরের জেরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এমন অবস্থা হয়েছিল যে তিনি হাসপাতালের বেডে এপাশ-ওপাশও করতে পারতেন না বলে দাবি করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।
আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার পর কংগ্রেস কাঁদত, এখন পাকিস্তান কাঁদছে : মোদী
কেন এমন তাঁর সঙ্গে করা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী। জানিয়েছেন, মালেগাঁও বিস্ফোরণের দায় জোর করে তাঁকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেই সময়ের সরকার হিন্দুত্বকে টার্গেট করেছিল। মালেগাঁও বিস্ফোরণ মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্য ঘটানো হয়, এই কথাও কবুল করানোর চেষ্টা হয়েছিল।
#WATCH: Alleging torture by jail officials, Sadhvi Pragya Singh Thakur, BJP Lok Sabha candidate from Bhopal, breaks down while addressing the party workers pic.twitter.com/UVUomvmJZ2
— ANI (@ANI) April 18, 2019
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণেই অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মকোকা আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনআইএ। সপ্তাহখানেক আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরই ভোপাল থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রা-হুলে বিদ্ধ অনিল, কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ভাই মুকেশ অম্বানী!
তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত একজনকে বিজেপি কীভাবে প্রার্থী করে? যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে নারাজ প্রজ্ঞা। তাঁকে জোর করে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এর আগেও তিনি একই দাবি করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। পুরোটাই তত্কালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। আর সেটাকেই হাতিয়ার করে ভোপালে ভোটে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু করল ভারতের প্রথম বিলাবহুল ১৪ তলা প্রমোদতরী 'জলেশ'
কারণ, ভোপালে এবার অশনি সংকেত রয়েছে বিজেপির জন্য। ভোপাল লোকসভার অধীনে আটটি বিধানসভা আসন। সাম্প্রতিক মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি বিজেপি পেয়েছিল। বাকি তিনটি গিয়েছিল কংগ্রেসের দিকে।
ফলে ওই আসনে জিততে মরিয়া বিজেপি। তাই ভোপালে কংগ্রেসের দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে।