গ্রিন নোবেল পেলেন রমেশ আগরওয়াল
গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ বা গ্রিন নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হলেন পরিবেশবিদ রমেশ আগরওয়াল। সানফ্রানসিসকোয় এক অনুষ্ঠানে প্রচারের আলোর বাইরে থাকা পরিবেশ আন্দোলনের সৈনিককে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। এবছর সারা বিশ্ব থেকে পরিবেশ রক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য ছজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আর এশিয়া থেকে এই পুরস্কার পেয়েছেন একমাত্র রমেশ আগরওয়াল।রমেশ আগরওয়াল। ছত্তিসগড়ের রায়গড়ের বাসিন্দা এই মানুষটি গত দুদশক ধরে অবৈধ খনন এবং কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন। পরিবেশ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী এই রমেশ আগরওয়ালই এবার সম্মানিত হলেন গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ পুরস্কারে।
গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ বা গ্রিন নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হলেন পরিবেশবিদ রমেশ আগরওয়াল। সানফ্রানসিসকোয় এক অনুষ্ঠানে প্রচারের আলোর বাইরে থাকা পরিবেশ আন্দোলনের সৈনিককে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। এবছর সারা বিশ্ব থেকে পরিবেশ রক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য ছজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আর এশিয়া থেকে এই পুরস্কার পেয়েছেন একমাত্র রমেশ আগরওয়াল।রমেশ আগরওয়াল। ছত্তিসগড়ের রায়গড়ের বাসিন্দা এই মানুষটি গত দুদশক ধরে অবৈধ খনন এবং কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন। পরিবেশ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী এই রমেশ আগরওয়ালই এবার সম্মানিত হলেন গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ পুরস্কারে।
বিশ্বজুড়ে যাঁরা তৃণমূলস্তরে পরিবেশ রক্ষায় লড়াই করেন, প্রচারের আলোর বাইরে থাকা এমন ব্যক্তিত্বদেরই গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রিন নোবেল নামে খ্যাত মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা। আমেরিকার সানফ্রানসিসকোয় এক অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে ছজনকে এবছর এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনের একনিষ্ঠ সৈনিক রমেশ আগরওয়ালের এই স্বীকৃতিতে খুশি তাঁর সংগঠনের সহযোদ্ধারা।
ছোট্ট একটি ইন্টারনেট কাফের মালিক রমেশ আগরওয়াল ও তাঁর সহযোদ্ধাদের আন্দোলনেই রায়গড়ে বন্ধ হয়ে গেছে তিনটি বড় সংস্থার পরিবেশ বিরোধী প্রকল্প। যার মধ্যে রয়েছে নবীন জিন্দালের সংস্থা জেএসপিএল-এর প্রস্তাবিত কয়লা খনিও।
উনিশশো নব্বইয়ের দশকে নিরক্ষর মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন রমেশ আগরওয়াল।
এরপরেই বিভিন্ন সংস্থার পরিবেশ বিরোধী প্রকল্প এবং অবৈধ কয়লা খননের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন তিনি। রায়গড়ে খনি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান। দুহাজার পাঁচে নিজের সংগঠন জনচেতনা মঞ্চ তৈরি করেন রমেশ আগরওয়াল।
এপর্যন্ত একটি বড় কয়লা কোম্পানি সহ তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলায় জিতেছেন রমেশ আগরওয়াল।
আরও সাতটি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
এই অসম যুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিপদেও পড়েছেন কয়লা মাফিয়াদের চক্ষুশূল পরিবেশ আন্দোলনের এই লড়াকু যোদ্ধা। দুহাজার বারো-তে নিজের ইন্টারনেট কাফেতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন রমেশ আগরওয়াল। সেবার প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও হাঁটতে বেশ কষ্ট হয় তাঁর। এর পরেও কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই মানুষটিকে নিরাপত্তা দিতে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ছত্তিসগড়ের রমন সিং সরকার। তবুও দমেননি তিনি। প্রশাসন ও রাজ্য সরকার পাশে না দাঁড়ালেও, নিজের সহযোগী আর ছত্তিসগড়ের গ্রামবাসীদের নিয়েই পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে অবিচল সদ্য গ্রিন নোবেলে সম্মানিত রমেশ আগরওয়াল।