গুজরাট দাঙ্গায় রাজনাথ নয় মোদীকে ক্ষমাপ্রার্থনা চাইতে হবে, বলল কংগ্রেস
গতকাল ১২ বছর পর গুজরাট দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। কিন্তু রাজনাথের ক্ষমার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হল গুজরাট দাঙ্গার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চেয়ে আসলে রাজনাথ গুজরাটের দাঙ্গার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।
গতকাল ১২ বছর পর গুজরাট দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। কিন্তু রাজনাথের ক্ষমার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হল গুজরাট দাঙ্গার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চেয়ে আসলে রাজনাথ গুজরাটের দাঙ্গার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুল গান্ধীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মুসলিম ভোটাররা নাকি মোদীকে সমর্থনের বিষয়ে এখনও দ্বিমত আছে। এই সুযোগটা নিতেই মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গে মোদীকে কোণঠাসা করতে মরিয়া সোনিয়া গান্ধী।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষা বিজেপির ভাল ফলের ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রায় সব সমীক্ষাই নিরাশ করেছে কংগ্রেসকে। এমনকি, সমীক্ষায় মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের ছবিও কংগ্রেসের পক্ষে আশাপ্রদ নয়। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া এবার জোরালো। যা ধরা পড়েছে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার সমীক্ষাতেও। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা তিরিশ শতাংশ বা তার বেশি। ৩৮টি আসনে ২১ থেকে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটার।
প্রথম ৩৫টি আসনের মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে পাঁচটি আসন, অসমে চারটি আসন, উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন এবং বিহারে তিনটি আসন। সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে এই রাজ্যে, নয়টি আসন। অন্ধ্রপ্রদেশ একটি আসন। কেরালায় চারটি আসন। লাক্ষাদ্বীপে একটি আসন। অন্যভাবে বললেন, মোট ৭৩টি আসনে বড়সড় ভূমিকা নেয় মুসলিম ভোট। একশ পয়তাল্লিশ আসনে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ১১ থেকে ২০ শতাংশ।
একশ তিরাশিটি আসনে মুসলিম ভোটার ৫ থেকে ১০ শতাংশ । পাঁচ শতাংশের কম মুসলিম ভোটার রয়েছে ১৪২টি আসনে। সবমিলিয়ে প্রায় ২২০টি লোকসভা আসনে সাংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন মুসলিম ভোটাররা। কংগ্রেসের প্রতি, নানা কারণে আস্থা হারিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। কিন্তু সেই ভোট কি বিজেপির বাক্সে যাবে? আগের মতো মেরুকরণের হাওয়া এবার ততটা বিজেপি বিরোধী নয়, এটা বুঝেই ময়দানে ঝাঁপিয়েছে গৈরিক শিবির। সেজন্য প্রথম থেকেই ভোটপ্রচারে বিভাজনের রাজনীতির উধর্বে ওঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মোদী। অসম ছাড়া আর কোথাও হিন্দুত্বের তাস খেলেননি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। কিন্তু গুজরাট হিংসার কাঁটা যে এখনও রয়ে গেছে সেটা আঁচ করেই মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং।
উত্তর প্রদেশে এক তৃতীয়াংশ লোকসভা আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মুসলিম ভোট। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মুসলিম ভোটররা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে দুহাজার নয়ের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে উত্তর প্রদেশের মুসলিম ভোটাররাই কংগ্রেস, বিএসপি এবং এসপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলেন। এই প্যাটার্ন ভেঙে কি মুসলিম ভোটারদের মন ছুঁতে পারবে বিজেপি। সেটাই এবারের ভোটে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।