মন্দির বিষয়ে কারওর নাক গলানো উচিত নয়, সবরীমালা কাণ্ডে মুখ খুললেন রজনীকান্ত
৬৭ বছর বয়সী এই সুপারস্টারের কথায়, শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্পূর্ণভাবে সম্মান জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, গত চার দিন ধরে সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশে তুমুল বিরোধিতা করছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের উদ্দেশে ইট ছোড়া, বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে সবরীমালা নিয়ে মুখ খুললেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ধর্মীয় ভাবাবেগে কারওর নাক গলানো পছন্দ নয়। এক সাংবাদিক বৈঠকে রজনীকান্ত বলেন, নারীর সমান অধিকারে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাকে সম্মান জানাচ্ছি আমি। কিন্তু যখন মন্দির নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, সেখানে কারওর নাক গলানো উচিত হবে না। প্রত্যেক মন্দিরের নিজস্ব কিছু আচারানুষ্ঠান রয়েছে যা সম্মান জানানো উচিত।
আরও পড়ুন- সবরীমালায় কম বয়সি মনে হলেই প্রমাণপত্র দিতে হচ্ছে মহিলাদের
তবে, ৬৭ বছর বয়সী এই সুপারস্টারের কথায়, শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্পূর্ণভাবে সম্মান জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, গত চার দিন ধরে সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশে তুমুল বিরোধিতা করছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের উদ্দেশে ইট ছোড়া, বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি থেকে নামিয়ে মহিলাদের তল্লাসি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। মন্দিক চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মহিলাদের প্রবেশে বিরোধিতা করছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মহিলারাও রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন- কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না; ব্যাখ্যা দিল রেল
ট্রিচি থেকে আসা লাথা নামে এক মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। রতীশ কুমার নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ওনাকে কম বয়সি দেখতে লাগায় মন্দিরের রীতি অনুযায়ী বাধা দেওয়া হয়। আমরা তাঁর প্রমাণপত্র দেখতে চাই। যখন তাঁর ৫২ বছর বয়সের প্রমাণ দেখান ওই মহিলাকে তারপরই আয়াপ্পা দর্শনে অনুমতি দেওয়া হয়।” এরপর নিরাপত্তা দিয়ে ওই পরিবারকে মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পর গত বুধবার প্রথম সবরীমালার মন্দির খোলে। তার আগের থেকেই মন্দির প্রবেশের বেসক্যাম্প নীলাক্কলে ব্যাপক তল্লাসি চালায় বিক্ষোভকারীরা। কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেন তাঁরা। বুধবার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। তুমুল উত্তেজনার মধ্যে কোনও মহিলাই প্রবেশ করতে পারেননি। ভক্তদের একাংশ মহিলা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে অন্যান্য মহিলাদের বাধা সৃষ্টি করে। আরএসএস, বিজেপি, কংগ্রেস সব বিরোধী দলই বিরোধিতা করেছে শীর্ষ আদালতের রায়ের। কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে এই রায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুর্নবিবেচনা করা উচিত বলে কংগ্রেস দাবি করে। তবে, শীর্ষ আদালতের রায়কে বলবত্ করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।