কেন্দ্রের বিরোধিতায় কাল পথে নামছে রাজ ঠাকরের দলও
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং বাম ছাড়াও আঞ্চলিক দলগুলিও ধর্মঘটের সমর্থন জানিয়েছে। শরদ পাওয়ারের ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, অখিলেশের সমাজবাদী, ডিএমকে এ দিন পথে নামবে বলে জানিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের ডাকা সোমবার ভারত বনধে পূর্ণ সমর্থন করছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। রবিবার এমএনএস তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে দলের সুপ্রিমো রাজ ঠাকরে জানিয়েছেন, পেট্রোপণ্যের মূল্য যে ভাবে আকাশ ছুঁয়েছে, তাতে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। তাই ভারত বনধে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে দলের।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করে পেট্রো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নোটবন্দিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ ঠাকরে। মোদীর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে বরাবরই সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে রাজ ঠাকরকে। সম্প্রতি কর্নাটকে নির্বাচন প্রসঙ্গে অমিত শাহকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র বানিয়ে বিজেপির তুলোধনা করেন তিনি। এ বার রাজ বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধি পেলেও কেন্দ্রের নীতির কারণে আমজনতাকে ভুগতে হচ্ছে। নোটবন্দি মোদী সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে। ক্ষতি হয়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। সেই ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি তেলের উপর চড়া শুল্ক কেন্দ্র চাপিয়েছে বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সোমবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, মাথা বাঁচাতে হেলমেট পরেই রোগী দেখছেন ডাক্তাররা
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং বাম ছাড়াও আঞ্চলিক দলগুলিও ধর্মঘটের সমর্থন জানিয়েছে। শরদ পাওয়ারের ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, অখিলেশের সমাজবাদী, ডিএমকে এ দিন পথে নামবে বলে জানিয়েছে। তবে, ধর্মঘটের পথে হাঁটবেন না এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় তৃণমূল দলের তরফে জানানো হয়েছে, বনধের সংস্কৃতি তাদের দল স্বীকৃতি দেয় না। তবে, জ্বালানি তেলের দাম-বৃদ্ধি নিয়ে সোমবার মিছিল করবে তৃণমূলের কর্মীরা।
আরও পড়ুন- ‘ঝোলেও আছে, অম্বলেও আছে’, বনধ ইস্যুতে মমতাকে কটাক্ষ অধীরের
সোমবারের ধর্মঘটে বামেরা সামিল থাকলেও অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (এআইএফবি) এই কর্মসূচি থেকে দূরে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এআইএফবি-র সেক্রেটারি দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, “আমাদেরকে না জানিয়ে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের নেতার বনধ ডেকেছেন। এটা অপমানজনক। বনধকে সমর্থন করলেও, কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছি না।” ফরওয়ার্ড ব্লকের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অধীর জানিয়েছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হয়ত কাজ করছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা।