মানসরোবর যাত্রার আবেদন করেননি রাহুল গান্ধী, জানাল বিদেশমন্ত্রক

 ২৯ এপ্রিল নয়াদিল্লির সভায় কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেন, কর্ণাটকে ভোট মেটার পর ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে মানসরোবর যাত্রা করবেন তিনি। 

Updated By: Jun 30, 2018, 02:24 PM IST
মানসরোবর যাত্রার আবেদন করেননি রাহুল গান্ধী, জানাল বিদেশমন্ত্রক

নিজস্ব প্রতিবেদন: কৈলাস মানসরোবরে সত্যিই কি যেতে চান রাহুল গান্ধী? নাকি শুধুমাত্র  রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তীর্থযাত্রার ঘোষণা করেছিলেন? বিদেশমন্ত্রকের বয়ানের পর ঘোরাফেরা করে এই প্রশ্নগুলি। অতিসম্প্রতিই কংগ্রেস দাবি করছিল, মানসরোবরে তীর্থের জন্য বিদেশমন্ত্রকের কাছে বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, কৈলাস যাত্রার আবেদনই করেননি কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।  

গুজরাট নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকে 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছেন। নিজেকে শিবভক্তও বলেছেন। সোমনাথ মন্দিরের বিতর্কের পর দলের সভাপতিকে 'পৈতেধারী হিন্দু' বলেও দাবি করে কংগ্রেস। তারপর কর্ণাটকে ভোটপ্রচারের সময়ে মাঝআকাশে বিমান বিভ্রাটের মুখে পড়েন রাহুল গান্ধী। ২৯ এপ্রিল নয়াদিল্লির সভায় কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেন, কর্ণাটকে ভোট মেটার পর ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে মানসরোবর যাত্রা করবেন তিনি। বিমান বিভ্রাটের সময়েই নাকি কৈলাসের কথা মাথায় এসেছিল তাঁর। তবে মানসরোবর যাত্রার রেজিস্ট্রেশনের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও এখনও আবেদন করেননি রাহুল গান্ধী। 

দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা দাবি করেন, তীর্থযাত্রার আবেদন করেছেন রাহুল গান্ধী। বিদেশমন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষা করছেন তিনি। 

৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা। চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লটারি পদ্ধতিতে আবেদনের আর সুযোগ নেই। তবে সাংসদ হিসেবে আবেদন করলে অনুমতি পেতে পারেন রাহুল গান্ধী। এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, সত্যিই কি মানসরোবরে তীর্থে যেতে চান রাহুল গান্ধী?

আরও পড়ুন- পুরীর মন্দিরে সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অস্বীকার মন্দির কর্তৃপক্ষের 

.