কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের জোর প্রস্তুতি
তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ জন মন্ত্রী এবং ডিএমকের ২জন মন্ত্রীর ইস্তফার ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখন বেশ কয়েকটি আসন শূন্য। তাদের মধ্যে কয়েকজনের ওপর একাধিক দায়িত্ব ছিল। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় রদবদল জরুরি। মাত্র ১৭ মাস পরে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে নিয়ে সংস্কারের পথে পা বাড়াতে চাইছেন মনমোহন সিং সরকার।
তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ জন মন্ত্রী এবং ডিএমকের ২জন মন্ত্রীর ইস্তফার ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখন বেশ কয়েকটি আসন শূন্য। তাদের মধ্যে কয়েকজনের ওপর একাধিক দায়িত্ব ছিল। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় রদবদল জরুরি। মাত্র ১৭ মাস পরে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে নিয়ে সংস্কারের পথে পা বাড়াতে চাইছেন মনমোহন সিং সরকার। ইউপিএ দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কংগ্রেস। টু জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির জেরে মন্ত্রক খুইয়েছিলেন এ রাজা। তারপর থেকেই সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কপিল সিব্বাল। তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ মন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ায় রদবদল জরুরি হয়ে পড়েছে মন্ত্রিসভায়। সেই রদবদলের যে খুব দেরি নেই, তেমন ইঙ্গিতও মিলেছে সরকারের তরফ থেকে।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় রদবদল। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সমস্ত শরিকই কংগ্রেসকে চাপে রাখা শুরু করেছে। টেলিকম ও বস্ত্র মন্ত্রক খুইয়েছিল ডিএমকে। ফলে দুটি মন্ত্রক আদায়ের জন্য সরকারের ওপর চাপ জারি রাখতে পারে করুণানিধির দল। এই তথ্য উঠে এসেছে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে। যেসব রাজ্যগুলিতে নির্বাচন আসন্ন সেইসব রাজ্যের থেকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তৃণমূলের মতো শরিক চলে যাওয়ার পর বাকি শরিকদের মন রেখে চলার চেষ্টাইযে করবে কংগ্রেস তা সহজে আনুমেয়। আর্থিক সংস্কার বাস্তবায়িত করতে গেলে শরিকদের পাশে পাওয়া যে জরুরি তা বিলক্ষণ জানেন কংগ্রেস সভানেত্রী। ফলে রদবদলের সময় এসব মাথায় রেখেই এগোবেন তিনি।
এবছররেরই শেষের দিকে গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের নির্বাচন হবে। এই দুটি রাজ্য থেকে ৪জন প্রতিনিধি রয়েছেন। ইউপিএ সরকারের দিল্লি সহ ৫টি রাজ্যের থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। এই রাজ্যগুলিতে আগামী বছর নির্বাচন হবে। মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্র থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর ইউপিএ সরকারকে আরও বেশি করে প্রমাণ করতে হবে তারা আম আদমির সরকার। আর তা করতে গেলে সহযোগী দলগুলিকেও খুশি রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় ডিএমকেকে দুজন এবং এনসিপিকে কমপক্ষে আরও একজনের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।
মন্ত্রিসভা রদবদলের ফলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে তেমনই দলীয় সংগঠনের কাজে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে আনা হতে পারে।