Sadhguru | Madras High Court: 'নিজে মেয়েকে তো বিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু অন্যদের মাথা মুড়িয়ে ব্রহ্মচারী হতে বলছেন কেন!'
Spiritual Leader: মামলার শুনানিতে বিচারপতিদের প্রশ্ন, কেন তিনি মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে, পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে, সন্ন্যাসীদের মতো জীবনযাপন করার আহ্বান দেন যখন তাঁর নিজের মেয়েই বিয়ে করে সংসার করেছেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বঘোষিত ধর্মগুরু সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের। তামিলনাড়ুর এক অধ্যাপক সদগুরুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দুই মেয়েকে মগজ ধোলাই করে ইশা ফাউন্ডেশনের যোগকেন্দ্রে আটকে রেখেছিলেন সদগুরু। এই অভিযোগে মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতিদের প্রশ্ন, কেন তিনি মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে, পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে, সন্ন্যাসীদের মতো জীবনযাপন করার আহ্বান দেন যখন তাঁর নিজের মেয়েই বিয়ে করে সংসার করেছেন?
আরও পড়ুন, Sonam Wangchuk: চাই নিঃশর্ত তাঁবেদারি? দিল্লি পুলিসের হাতে গ্রেফতার আসল Rancho ফংসুক ওয়াংডু!
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এস কামরাজের অভিযোগ ছিল, গত ১০ বছর ধরে তাঁর দুই শিক্ষিত মেয়েকে ইশা ফাউন্ডেশনের যোগকেন্দ্রে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে। পার্থিব জগতের সমস্ত মায়া ত্যাগ করেছে মেয়েরা। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম সুহ্মমণ্যম এবং ভি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে ওই অধ্যাপক তাঁর মেয়েদের ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য তলব করার অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন৷
বিচারপতি বলেছেন, 'একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ভালো জায়গায় পাঠিয়েছেন, কিন্তু অন্যের মেয়েদের মাথা মুন্ডন করে, তাঁদের সন্ন্যাসীর মতো বাঁচতে বলেন। এখানেই তো সন্দেহ।' এ দিকে, শুনানিতে হাজির ছিলেন ওই অধ্যাপকের ৪২ এবং ৩৯ বছর বয়সী দুই মেয়ে। দু'জনেই হাইকোর্টে জানান, স্বেচ্ছায় ইশা ফাউন্ডেশনের যোগকেন্দ্রে থাকছেন তাঁরা। কেউ তাঁদের কোনও কাজে বাধ্য করেনি। যদিও বাবার তাঁর অভিযোগে অনড়।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এই ধরনের আর কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পুলিসকে। এরপরই মঙ্গলবার বিকেলে ইশা ফাউন্ডেশনে ১৫০ পুলিস কর্মীর এক বাহিনী তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিসি তৎপরতা নিয়ে ইশা যোগ সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশে পুলিস সুপার সহ পুলিস কর্মীরা রুটিন তদন্তে এসেছিলেন। তাঁরা আশ্রমিক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বিষয়ে খোঁজ নেন। এখানে কীভাবে যোগসাধনা ও জীবনাচরণ করা হয়, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁরা এখানে কীভাবে এলেন, কীভাবে থাকেন তাও জানতে চায় পুলিস।
আরও পড়ুন, Kerala: MBBS-এ ফেল! ডাক্তারি পড়ুয়ার হার্ট অপারেশনে বেঘোরে মৃত্যু রোগীর....
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)