ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর দফতর
ওয়াশিংটন পোস্টে মনমোহন সিং সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মার্কিন সংবাদপত্রে বলা হয়েছিল, দুর্নীতি এবং ভ্রান্ত নীতির জেরে দিন দিন ট্র্যাজিক চরিত্রে পরিণত হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
ওয়াশিংটন পোস্টে মনমোহন সিং সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মার্কিন সংবাদপত্রে বলা হয়েছিল, দুর্নীতি এবং ভ্রান্ত নীতির জেরে দিন দিন ট্র্যাজিক চরিত্রে পরিণত হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ওয়াশিংটন পোস্টের ইন্ডিয়া ব্যুরো চিফ সাইমন ডেনিয়ারের এই লেখা অনৈতিক ও পেশাদারি মনোভাবের পরিচয় নয় বলে মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। মার্কিন দৈনিকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ একপেশে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ পাচৌরি।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও ওই দৈনিকের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, প্রতিবেদনের জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হবে না। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে টালমাটাল ইউপিএ সরকার। কয়লা কেলেঙ্কারির জেরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শুধু দেশেই নয়, ভিনদেশের সংবাদমাধ্যমেও বারে বারে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। দুর্নীতি ;ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে মতামত দিয়েছেন এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমালোচক। তাঁদের বক্তব্যের ভিত্তিতে লেখা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের বক্তব্য, একসময় ভারতের আর্থিক সংস্কারের পুরোধা মনমোহন সিং বর্তমানে একজন নিস্তেজ প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় ইউপিএ-তে তাঁর ভূমিকা হতাশাজনক। নীতি অক্ষমতার কারণে এবং একের পর এক দুর্নীতির জেরে প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসে ব্যর্থতার চোরাবালিতে তলিয়ে যাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কয়লা দুর্নীতির জেরে গত দুসপ্তাহ ধরে সংসদ যেভাবে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে, তারও সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এমনকি এক রাজনৈতিক সমালোচককে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীকে কৌশলী দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অক্ষম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করেছে বিজেপি। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সমালোচনা জাতীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।