মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব নয়, জানাল পিএমও

বিভিন্ন মন্ত্রক ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আসে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। 

Updated By: Nov 21, 2018, 08:43 PM IST
মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব নয়, জানাল পিএমও

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগপত্র নিয়ে কোনও তথ্য দিতে অস্বীকার করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তথ্যের অধিকার আইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে  তারা জানাল, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা বিষয়ভিত্তিক ও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ।      

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জবাব এমন একটা সময়ে এল, যখন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী হরিভাই প্রার্থীভাই চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক সিবিআই আধিকারিক।             

বিভিন্ন মন্ত্রক ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আসে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। কোন কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী কী দুর্নীতির অভিযোগপত্র এসেছে, তা জানতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করেন জনৈক আমলা সঞ্জীব চতুর্বেদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জবাব দিয়েছে, ছদ্মনাম ও নামহীন বহু অভিযোগপত্র এসেছে। অভিযোগের সারবত্তা দেখে প্রতিটি অভিযোগপত্রই খতিয়ে দেখা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ্য নথিও।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (এইমস) একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করেছিলেন ভারতীয় বনবিভাগের আধিকারিক সঞ্জীব চতুর্বেদী। তখন এইমসের প্রধান নজরদারি অফিসার ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের অগস্ট পর্যন্ত ভিজিল্যান্স অফিসারের দায়িত্ব সামলেছিলেন। তাঁর আবেদনেই পিএমও জানিয়েছে, দুর্নীতি ও দুর্নীতি নয়, এমন সব ধরনের অভিযোগ এসেছে। আবেদনকারী শুধুমাত্র দুর্নীতির অভিযোগপত্রগুলির ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ ও সাধারণ অভিযোগ আলাদা করে রাখা হয় না। তাছাড়া সেগুলি ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে। সে কারণে এই তথ্য দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। 

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই কর্তা মণীশ সিনহা অভিযোগ করেন, সিনহার দাবি, মইন কুরেশির মামলা. সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার কেভি চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন সানা সতীশ বাবু। এই মামলায় যুক্ত অজিত দোভালের পরিচিত দুই ব্যক্তি। সিনহার অভিযোগ, মামলা ধামাচাপা দিতে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী হরিভাই প্রার্থীভাই চৌধুরীকে ঘুষ দিয়েছিলেন সতীশ বাবু। গুজরাটের সাংসদ হরিভাই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, র অফিসার সামন্ত গোয়েলের একটি কথোপকথনও শুনেছেন সিনহা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সিবিআইয়ের বিষয়টি দেখে নেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।  

আরও পড়ুন- প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলাদা হতে নারাজ দুই ভাই, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

.