ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে গভীর রাতে হেভিওয়েট মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
রাত ১০টা নাগাদ মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তের উত্তেজনা, পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ, সেনাবাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাঁর ৪ মন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাদাখে সীমান্তে চিনের সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর বর্তমানে সীমান্তের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমণ। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার চিফ জেনারেল এমএম নারাভানে।
সূত্রের খবর, রাত ১০টা নাগাদ মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তের উত্তেজনা, পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ, সেনাবাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করেন তাঁরা।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সূত্রে খবর, ভারতীয় ও চিনের সেনার সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। অন্যদিকে একাধিক সূত্রে দাবি পাল্টা আঘাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪৩ জন চিনের সেনার। যদিও সেনাবাহিনীর তরফে চিনের হতাহতের কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল ও দুই জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর আসে। চিনের সেনার সঙ্গে গালোয়ান উপত্যকার সীমন্তে প্রবল সংঘর্ষের সময়ে পাল্টা আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। সেই সময়ে দুই পক্ষেই বেশ কিছু হতাহতের খবর প্রকাশিত হয়ে চিনের সংবাদমাধ্যমে।
চিনের সংবাদমাধ্যম ও বেজিং সংঘর্ষের জন্য ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও তা নাকচ করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রে অনুরাগ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে গত সপ্তাহের শান্তি প্রতিশ্রুতি মেনেই ধীরে ধীরে সীমান্ত থেকে সরে আসছিল ভারতীয় সেনা। সেই সময়েই অতর্কিতে এগিয়ে এসে আক্রমণ করে চিনের সেনা। "সীমান্তে চিনের অযাচিতভাবে নিজেদের অবস্থান বদল করার চেষ্টার সময়েই সংঘর্ষ শুরু হয়' সাফ জানিয়ে দেয় বিদেশমন্ত্রক।
আরও পড়ুন : 'এনাফ ইজ এনাফ! প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? কেন লুকোচ্ছেন তিনি?' বিস্ফোরক টুইট রাহুল গান্ধীর