বিরোধীদের কটাক্ষ দেশের ভাবমূর্তির পক্ষে নেতিবাচক: প্রধানমন্ত্রী
একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে যখন কার্যত কোনঠাসা দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার, তখন `ইমেজ রিস্টোরে` মরিয়া খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দুর্নীতি প্রসঙ্গে ক্রমাগত নেতিবাচক মনোভাব এবেরারেই ভাল নয়।" এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।
একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে যখন কার্যত কোনঠাসা দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার, তখন `ইমেজ রিস্টোরে` মরিয়া খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দুর্নীতি প্রসঙ্গে ক্রমাগত নেতিবাচক মনোভাব এবেরারেই ভাল নয়।" এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।
নাম না করে তিনি সরাসরি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা সমাজকর্মীদের নিশানা করতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করায় কেজরিওয়াল ও বিরোধীরা একযোগে মনমোহন সরকাররে বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। সরকার বিরোধী এই আন্দোলনকে দেশব্যাপী সংবাদমাধ্যাম গুরুত্ব দেওয়ায়, আসন্ন গুজরাট ও হিমাচল বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেসের পক্ষে আশাব্যঞ্জক হবে না। সেক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের পিঠ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হাল ধরা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সেই জায়গা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আজকের পাল্টা বক্তব্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
টেলিকম থকে কয়লা কেলেঙ্কারি, একের পর এক দুর্নীতির ঘেরাটোপে ইউপিএ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে যে দেশব্যাপী ঝড় উঠেছে তাতে রাজনৈতিক `মধ্যসত্তাভোগীদের` সুর চড়াতে বেশ সুবিধাই হয়েছে। যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পক্ষে যথেষ্ঠ। স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতিতে বেশ কয়েকজন প্রথম সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলেছে। অন্যদিকে, সম্প্রতি কয়লা ব্লক বণ্টনে স্বজন পোষনেরও অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এই প্রেক্ষাপটে কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণের মতো দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকারীরা তাঁদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিতে শুরু করেছেন। যদিও, এখনও তাঁদের দলের অনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা বাকি। গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢড়ার বিরুদ্ধে নির্মাণ সংস্থা ডিএলএফ থেকে আইন বহির্ভূত ভাবে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। আজই ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশনের তরফে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী সলমন খুরশিদের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দেশের মোট ১৩ জন মন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তোলেন একদা আন্না হাজারে ঘনিষ্ঠ কেজরিওয়াল। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী কয়লা কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন তিনি।