ভারতের ৯০ শতাংশের বেশি মুসলিম মহিলা মৌখিক তালাক, বহু বিবাহের বিরোধী
স্বামী স্ত্রীর উদ্দেশে মুখে তিনবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ। প্রয়োজন নেই আরও কোনএও আইনি স্বীকৃতির। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাচীন এই নিয়মের বিরোধিতা করেন ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম মহিলা। শুধু তাই নয়, তারা বিরোধী পুরুষদের বহু বিবাহেরও।
ওয়েব ডেস্ক: স্বামী স্ত্রীর উদ্দেশে মুখে তিনবার তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ। প্রয়োজন নেই আরও কোনএও আইনি স্বীকৃতির। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাচীন এই নিয়মের বিরোধিতা করেন ভারতের ৯০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম মহিলা। শুধু তাই নয়, তারা বিরোধী পুরুষদের বহু বিবাহেরও।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের সমীক্ষার রিপোর্ট। যেখানে ৯২.১ শতাংশ মহিলাই মুখে তালাক নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন। মোট ৪,৭১০ জন মহিলার মধ্যে ৪,৩২০ জন মহিলা (৯১.৭%) জানিয়েছেন তারা পুরুষদের বহু বিবাহের বিরোধী। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ দেশের ১০টি রাজ্যে চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা।
সমাজ না বদলালেও পুরনো এইসব রীতির প্রয়োগ ক্রমশই আরও সহজ হয়ে উঠছিল আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে। স্কাইপ, ইমেল, টেক্সট মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যেই স্ত্রীদেক তালাক দিচ্ছিলেন স্বামীরা। শুধু বিরোধিতা করা নয়, ৮৮.৫ শতাংশ মহিলা যেইসব মৌলবীরা মুখে তালাকের নোটিস দেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। ৯৩ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন যে কোনও বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে মহিলাদের মতামত জানাও আবশ্যিক হওয়া উচিত্। ৮৩.৩ শতাংশ মুসলিম মহিলা মুসলিম পরিবার আইনের কার্যকারিতা চান। এর ফলে তারা সুবিচার পাবেন বলে আশা করেন।
মুম্বইয়ের নুরজাহান সাফিয়া নিয়াজ জানান, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে মহিলারা একটা লিখিত আইন দাবি করছেন। বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ ও সন্তানের প্রতিপালনের মতো বিষয় এখনও করোনের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। নিয়াজ ও জাকিয়া সোমন একসঙ্গে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছিলেন।