বুধবার ঝিনা হিকাকার গণআদালতে তুলবে মাওবাদীরা

`মুক্তিপণের` শর্ত মোতাবেক ২৯জন বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি ওড়িশা সরকার। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের অবহৃত বি জে ডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকার `ভবিষ্যত্‍` স্থির করার জন্য `গণ -আদালত` বসানোর সিদ্ধান্ত নিল মাওবাদীরা।

Updated By: Apr 20, 2012, 04:12 PM IST

`মুক্তিপণের` শর্ত মোতাবেক ২৯জন বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি ওড়িশা সরকার। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের অবহৃত বি জে ডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকার `ভবিষ্যত্‍` স্থির করার জন্য `গণ -আদালত` বসানোর সিদ্ধান্ত নিল মাওবাদীরা। সিপিআই (মাওবাদী)-র অন্ধ্র-ওড়িশা স্পেশাল জোনাল কমিটি`র তরফে জানান হয়েছে, আগামী ২৫ এপ্রিল গণ-আদালতেই ঠিক করা হবে অপহৃত বিধায়কের পরিণতি। মাওবাদী নেত্রী অরুণার এই বক্তব্য সম্বলিত নতুন অডিও টেপটি বিভিন্ন ওড়িশার বিভিন্ন খবরের কাগজ ও নিউজ চ্যানেলের দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা।
বুধবার বিধায়কের মুক্তির শর্ত পূরমের ব্যাপারে মাওবাদীদের দেওয়া চরম সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়েছে। মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী নীহাররঞ্জন পট্টনায়েক সাংবাদিকদের জানান, সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মাওবাদীরা ৩৭ বছর বয়সী বিধায়ককে কোরাপুট জেলার নারায়ণপাটনা অঞ্চলের প্রত্যন্ত কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। অপহরণকারীদের সূত্রেই তিনি এই খবর পেয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
বিধায়কের অপহরণকারী মাওবাদীদের `অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার স্পেশাল জোনাল কমিটি` এর আগে শর্ত দিয়েছিলো, ১৮ই এপ্রিল বিকেল পাঁচটার আগে ওড়িশা সরকার ২৯ বন্দীর মুক্তি দিলে মাওবাদীরাও কোরাপুটের আইনজীবী নীহাররঞ্জন পট্টনায়েক এবং অপহৃত বিধায়কের স্ত্রীর হাতে তাঁকে তুলে দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য ১৩ জন বন্দীকে ছাড়তে রাজি হয়। বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ইউ এন বেহরা একথা জানিয়ে বলেছিলেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই ১৩ বন্দীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জেলবন্দী মাওবাদীদের মুক্তির ব্যাপারে ওড়িশা সরকারের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গাঙ্গুরদীপ বক্সী। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মাওবাদীদের দাবি পূরণের বিষয়ে ১৪ দিনের মধ্যে নবীন সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গাঙ্গুরদীপ বক্সীর মতে, রাজ্য সরকারের মাওবাদীদের মুক্তি দিতে চাইলে শীর্ষ আদালতের তা আটকানো উচিত। কারণ, নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাদের গ্রেফতার করেছে। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন অনেক নিরাপত্তাকর্মী। মাওবাদীদের ছেড়ে দেওয়া হলে সেই শহিদদের অপমান করা হবে। যদিও সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্ট তো এই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাই অপহৃত বিধায়কের মুক্তির স্বার্থে কয়েকজন মাওবাদীকে মুক্তির সিদ্ধান্তে কোনও বদল হবে না।"

.