দিলশান হত্যা মামলা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

একটি ১৩ বছরের কিশোরকে গুলি করে মারার অপরাধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কলোনেল কান্দাসামি রামারাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চেন্নাইয়ের আদালত। রামারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১-র জুলাইয়ে চেন্নাইয়ের আইল্যান্ড গ্রাউন্ডে সেনা আবাসন এলাকায় তাঁর বাগান থেকে বাদাম চুরি করার অপরাধে ১৩ বছর বয়সী কিশোর দিলশানকে গুলি করেন তিনি।

Updated By: Apr 20, 2012, 02:12 PM IST

একটি ১৩ বছরের কিশোরকে গুলি করে মারার অপরাধে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কলোনেল কান্দাসামি রামারাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চেন্নাইয়ের আদালত। রামারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১-র জুলাইয়ে চেন্নাইয়ের আইল্যান্ড গ্রাউন্ডে সেনা আবাসন এলাকায় তাঁর বাগান থেকে বাদাম চুরি করার অপরাধে ১৩ বছর বয়সী কিশোর দিলশানকে গুলি করেন তিনি। মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দিলশানের।

ওই হত্যার অভিযোগে ৫৮ বছর বয়সী রামারাজকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ওই ঘটনার পর রাজ্যের অপরাধ দমন শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় মোবাইল ফোনের সিগন্যালের উপর ভরসা করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আবাসনের অন্যান্য সেনা আধিকারিকদের। যে রাইফেল দিয়ে দিলশানকে গুলি করা হয়েছিল, সেই রাইফেলটিও উদ্ধার করে পুলিস। দিলশানের দেহের ময়নাতদন্তে তার মাথায় বুলেটের চিহ্ন পাওয়া যায়।
সেনা আধিকারিক যে রাইফেলটি থেকে গুলি চালিয়েছিলেন, সেই রাইফেলটির বুলেটের সঙ্গে দিলশানের মাথায় পাওয়া বুলেটটির মিল পাওয়া যায়। এছাড়া দিলশানের সঙ্গে আরও ৩ জন কিশোর ছিল। তার মধ্যে একজনের বয়ানের ভিত্তিতে রামারাজকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন আদালতের রায়ের পর রামারাজের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল ইচ্ছাকৃত গুলি করেননি। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

.