রোহিঙ্গাদের গো ব্যাক কেউ বলছে না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, সংসদে সরব দিলীপ ঘোষ

 রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন রাজ্যের ১৮ বিজেপি সাংসদ

Updated By: Feb 4, 2020, 05:22 PM IST
রোহিঙ্গাদের গো ব্যাক কেউ বলছে না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বলা হচ্ছে, সংসদে সরব দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার পর এবার লোকসভাতেও সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মঙ্গলবার লোকসভাতে সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন-ফাঁকা বাড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব!

লোকসভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেখে কেউ ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিচ্ছে না।  তাদের খাতির করা হচ্ছে কারণ তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভোট ব্যাঙ্ক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ চায় না আমাদের রাজ্য সুরক্ষিত থাকুক। আমাদের রাজ্যের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হল নাগরিকত্ব আইন। প্রতিবেশী দেশে থেকে লাখ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন। এরা এতদিন উদ্বাস্তুর তকমা নিয়ে ঘুরতেন। এবার তারা মর্যাদা পাবেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিএএ-র বিরোধিতায় রাস্তায় নামা মানুষজন তাঁকে কালো পতাকা দেখানে ও গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে তিনি আকাশপথে আসেন ময়দানে। সেখান থেকে রাজভবনে চলে যান। ওই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় বিজেপি। কেন রাজ্যের অতিথি প্রধানমন্ত্রীকে কালো পাতাকা দেখানো হবে তা নিয়ে সরব হন রাজ্য বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুন-দেশজুড়ে এখনই  হচ্ছে না NRC, সংসদে জানাল  কেন্দ্র

বিজেপি বরাবরই দাবি  করে আসছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। এরাই রাজ্যে তৃণমূলকে টিকিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি একাধিক সভায় ওইসব অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে বিজেপি।

এদিকে, রাজ্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন রাজ্যের ১৮ বিজেপি সাংসদ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে এক মহিলার ওপরে যেভাবে  অত্যাচার হয়েছে সেব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে স্কুলে গত ৫০ বছর ধরে পুজো হতো তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রাজ্যে নারী নির্যাতন অনেকটাই বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সব বিষয়গুলি রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়েছে।’  সরস্বতী পুজো বন্ধ নিয়ে লোকসভায় সরব হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

.