শিশু ধর্ষণের শাস্তি কি নির্বীজকরণ? সংসদকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ শীর্ষ আদালতের
শিশু ধর্ষণের শাস্তি কি নির্বীজকরণ? সংসদকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিশু ধর্ষণে আরও কড়া শাস্তির জন্য শিশুর আইনি সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করার কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
ওয়েব ডেস্ক: শিশু ধর্ষণের শাস্তি কি নির্বীজকরণ? সংসদকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিশু ধর্ষণে আরও কড়া শাস্তির জন্য শিশুর আইনি সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করার কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, প্রতি তিরিশ মিনিটে একটি শিশু যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪। এই পাঁচ বছরে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে আড়াই গুণ। শিশু ধর্ষণ বন্ধ করতে অতিরিক্ত শাস্তি হিসাবে ধর্ষকের যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হোক। এই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে শীর্ষ আদালতের মহিলা আইনজীবীদের সংগঠন।
এদিন, অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বলেন, নির্বীজকরণের মতো নির্দিষ্ট শাস্তির কথা সুপ্রিম কোর্ট বলতে পারে না। কারণ, শাস্তি কী হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব আইনসভার। শীর্ষ আদালতও জানিয়ে দেয় সংসদের কাজে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। তবে, একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ, শিশু ধর্ষণে কঠোরতর শাস্তির বিষয়টি সংসদের বিবেচনা করা উচিত। এ জন্য, শিশুর আইনি সংজ্ঞা কী হবে তা সংসদকেই ঠিক করতে হবে। বর্তমান আইনে নাবালিকা ও শিশুর মধ্যে কোনও ফারাক নেই। শীর্ষ আদালতের পরামর্শ, দশ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু যৌন নিগ্রহের শিকার হলে, বিচার হোক আলাদা আইনে।
আমেরিকা, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ডের মতো নানা দেশে শিশু ধর্ষণে নির্বীজকরণের শাস্তি দেওয়া হয়। ২০১১ সালে দিল্লির সেশন কোর্টের বিচারক কামিনী লেউ ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে নির্বীজকরণের কথা বলেন। সম্প্রতি, মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বীজকরণকে শিশু ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে বিবেচনার জন্য কেন্দ্রকে পরামর্শ দেয়। তবে, নির্ভয়া-কাণ্ডের পর গঠিত ভার্মা কমিটি নির্বীজকরণের প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। এই শাস্তি অসাংবিধানিক এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মতপ্রকাশ করেন প্রয়াত বিচারপতি।