এনসিটিসি থেকে ফরাক্কা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ আপত্তি জানালেন মমতা

রাজ্যগুলির সঙ্গে একমত না হওয়া পর্যন্ত এনসিটিসি কার্যকর করবে না কেন্দ্র, বুধবার দিল্লিতে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীকে এই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে জিটিএ ও ফরাক্কা ব্যারেজ নিয়ে রাজ্যের ওজর আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Feb 22, 2012, 07:30 PM IST

রাজ্যগুলির সঙ্গে একমত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি) কার্যকর করবে না কেন্দ্র, বুধবার দিল্লিতে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীকে এই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে জিটিএ ও ফরাক্কা ব্যারেজ নিয়ে রাজ্যের ওজর আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
এনসিটিএ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট করেছেন বলে তিনি বলেন, "এনসিটিএ লাগু হলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অবমাননা করা হবে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি।" বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এনসিটিসির বিরোধিতা করায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধামনমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জিটিএ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যের তরফে সমস্ত উদ্যোগ সম্পূর্ণ হলেও কেন্দ্রের গরিমসিতে জিটিএ গঠনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, দুদিনের মধ্যে সমস্ত প্রশাসনিক কাজ সম্পুর্ণ করে বিলটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।" রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে দিলে জিটিএ-র নির্বাচনে আর কোনও বাধা থাকবে না।
ফরাক্কা ব্যারাজ নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের কাঠগড়ায় তুলে এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ফরাক্কার স্লুইস গেট ভেঙে যাওয়ায় এরাজ্যের প্রাপ্য জলের বড় অংশ বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ভাবে ক্ষিতগ্রস্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এর ফলে হুগলি নদীর জলস্তর নেমে যাওয়ায় কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ হতে বসেছে পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়ে সেচ ও পানীয় জলের সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।" এই ঘটনার জন্য ফরাক্কা ব্যারেজ প্রোজেক্টের সরকারি আধিকারিকদের দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
তবে রাজ্যের জন্য বিশেষ অনুদান নিয়ে এদিন কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কোনও দিন কেন্দ্রের কাছে কোনও বিশেষ প্যাকেজ চায়নি রাজ্য।"

.