১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মোদী বন্দনায় যোগ দিলেন বিজেপির লৌহপুরুষ, আডবাণী বললেন, উন্নয়নের প্রতীক গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী
তিনি কিছুতেই চাননি তাঁর দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকে প্রজেক্ট করা হোক। কিন্তু তাঁর ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। রাগে সেদিন দলের সংসদীয় বোর্ডে যাননি বিজেপির লৌহপুরুষ। সেইসব কিছুকে অতীতে ফেলে রেখে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে একেবারে মোদীর প্রশংসায় নেমে পড়লেন বিজেপির লৌহপুরুষ।
তিনি কিছুতেই চাননি তাঁর দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকে প্রজেক্ট করা হোক। কিন্তু তাঁর ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। রাগে সেদিন দলের সংসদীয় বোর্ডে যাননি বিজেপির লৌহপুরুষ। সেইসব কিছুকে অতীতে ফেলে রেখে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে একেবারে মোদীর প্রশংসায় নেমে পড়লেন বিজেপির লৌহপুরুষ।
সোমবার ছত্তিশগড়ের কোরবায় এক জনসভায় আডবাণী বললেন, দেশের স্বার্থের জন্যই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। সেই সঙ্গে বলেন, গুজরাতের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন নরেন্দ্র মোদী, যাঁকে আমার দল ২০১৪-র নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করেছে৷ সঙ্গে যোগ করেন বিদ্যুত্, পরিকাঠামোয় অনেক উন্নতি করেছে গুজরাত৷
আডবাণীর এহেন মোদি প্রশস্তিতে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন উঠেছে৷ আডবাণীর মত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যিনি অনেক ঝড়ের মাঝেই সব সময় দলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি মোদী ইস্যুতে প্রকাশ্যে বিদ্রোহে নেমে পড়েছিলেন। অথচ দুদিন ঘুরতে না ঘুরতেই তিনিই একেবারে উলটপুরাণ গেয়ে কেন মোদীর বন্দনায় নামলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। মোদী নিজে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই আডবাণীর বাড়ি ছুটে গিয়েছেন৷ গতকালও বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত রাম জেঠমলানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন দুজনেই৷ কিন্তু আডবাণী-মোদির বাক্যালাপ হয়নি বলেই খবর৷ তবে হঠাত্ করে কী হল!
অনেকেই চাণক্য বুঝে গিয়েছেন নিষ্ঠুর সত্যটা। দলে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে হলে মোদীকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই, তাই দূরত্ব ঘোচানোর প্রক্রিয়ায় নেমে পড়লেন আডবাণী। আসলে আডবাণী যানেন রাজনীতি বড় অস্থির মোদী যদি শেষ অবধি ২০১৪-লোকসভা নির্বাচনে দলের বৈতরনি পার না করতে পারেন তাহলে আবার তিনি দলের মুখ হয়ে উঠবেন।