শক্তিমিল গণধর্ষণ কাণ্ড: একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তিন অপরাধীর ফাঁসির আদেশ আদালতের
মুম্বইয়ের শক্তিমিল গণধর্ষণ কাণ্ডে একাধিকবার যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিল দায়েরা আদালত। মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাবার সময় বিচারকরা এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছেন।
মুম্বইয়ের শক্তিমিল গণধর্ষণ কাণ্ডে একাধিকবার যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিল দায়েরা আদালত। মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাবার সময় বিচারকরা এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছেন।
কাসিম বাঙ্গালি, বিজয় যাদব ও মহম্মদ সেলিম আনসারি এই তিন অপরাধী মুম্বইয়ের পরিতক্ত্য শক্তিমিল অঞ্চলে প্রথমে এক টেলিফোন অপরেটর ও পরে চিত্র সাংবাদিক গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। গত বছর জুলাই মাসে বছর ১৮-এর টেলিফোন অপরেটর শক্তিমিল চত্বরে গণধর্ষণের শিকার হন। ২০১৩ সালের ২২ অগাস্ট ওই একই জায়গায় গণধর্ষিতা হন এক চিত্র সাংবাদিক। এই দুটি ঘটনাতেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল উপরোক্ত তিন দুষ্কৃতী।
গত কালই মুম্বইয়ে শক্তি মিলে চিত্র সাংবাদিক গণধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধী ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষী সব্যস্ত করে একটি দায়েরা আদালত। এই তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ছিল সময়ের অপেক্ষা। এই তিনজনই শক্তিমিলে এক ১৮ বছরের টেলিফোন অপরেটরকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়।
চিত্র সাংবাদিক গণধর্ষণ মামলার সরকারী আইনজীবী ৩৭৬ ই ধারায় অপরাধী তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদণ্ড। দুষ্কৃতী তিনজনের বিরুদ্ধেই ৩৭৬ ই ধারা বলবৎ করার আদেশ দিল আদালত।
চিত্র সাংবাদিক ও টেলিফোন অপরেটর ধর্ষণের দুটি পৃথক মামলায় দোষীদের এর আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এই তিনজন দুটি অপরাধের সঙ্গেই জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ই ধারার আদেশ দেওয়া হয়।
দুটি গণ ধর্ষণের ঘটনাতে মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দু`টি ঘটনাতেই একজন করে নাবালক দোষী সাব্যস্ত হয়। বর্তমানে এই দুই নাবালকেরই বিচার চলছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।