বিরোধীদের আছে ধনশক্তি, বিজেপির আছে জনশক্তি, দাবি করলেন মোদী
কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদী। জানান, বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা যখন একে অপরের হাত ধরেছেন, তখন বিজেপি জনতার হাত ধরেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের মহাজোটের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, বিরোধীদের মহাজোট আসলে দুর্নীতিগ্রস্ত, নেতিবাচক ও অস্থায়ী। রবিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কলকাতার ওই মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কেউ প্রভাবশালী, কারও নিজের সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার তাগিদ রয়েছে।”
আরও পড়ুন: মোদীর ইতিবাচক বক্তৃতা শুনে অনুপ্রাণিত আমির খান
রবিবার নয়াদিল্লিতে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন বিজেপির বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে। এদিন তিনি হাতকানানগেল, কোলাপুর, মাধা, সাতারা ও দক্ষিণ গোয়ার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদী। জানান, বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা যখন একে অপরের হাত ধরেছেন, তখন বিজেপি জনতার হাত ধরেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: সমস্ত শক্তি দিয়ে মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী করুন, বিজেপি কর্মীদের বার্তা গডকরীর
মোদীর অভিযোগ, বিরোধীদের টাকার জোর রয়েছে। সেই কারণেই বিজেপি দেশের ১২৫ কোটি মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। জনতাই জোরই বিজেপির জোর বলে তিনি দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বিরোধীদের আছে ধনশক্তি, আর আমাদের আছে জনশক্তি।”
শনিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আয়োজিত হয় ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ব়্যালি। যেখানে গোটা দেশের তাবড় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। এছাড়া আরও একাধিক অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রামকৃপালের হাত কাটতে চেয়েছিলেন লালু-কন্যা
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধীদের তরফে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইভিএম যে কোনও পার্টিকে দেওয়া ভোট বিজেপির কাছে চলে যাচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কলকাতার মঞ্চ থেকে সেই অভিযোগ আবারও তোলেন বিরোধী নেতারা।
রবিবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “বিরোধীরা ২০১৯ সালের ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে। তাই এখন থেকে অজুহাত দিচ্ছে। ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সবদলই ভোটে জেতার জন্য লড়াইয়ে নামে। কিন্তু যখন কোনও দল মানুষকে বোকা বানানোর জন্য রং বদল করে, তখন বিষয়টি খুবই চিন্তার হয়।”