মঙ্গলের পথে ভারতের মার্স অরবিটার
পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা কি মঙ্গল থেকে ছিটকে আসা পাথরের রাসায়নিক থেকে? মহাকাশ গবেষকদের মধ্যে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে এই অনুমান। তাহলে কি মঙ্গলের ভূস্তরে রয়েছে মিথেন, যা প্রাণের অন্যতম উপাদান? সেই খোঁজেই এমাসে মঙ্গলের কক্ষপথের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর নতুন উপগ্রহ। নানা যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ এই উপগ্রহ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করবে নতুন দিগন্ত।
পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা কি মঙ্গল থেকে ছিটকে আসা পাথরের রাসায়নিক থেকে? মহাকাশ গবেষকদের মধ্যে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে এই অনুমান। তাহলে কি মঙ্গলের ভূস্তরে রয়েছে মিথেন, যা প্রাণের অন্যতম উপাদান? সেই খোঁজেই এমাসে মঙ্গলের কক্ষপথের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর নতুন উপগ্রহ। নানা যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ এই উপগ্রহ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করবে নতুন দিগন্ত।
মঙ্গল ক্লাবের সদস্য হতে চলেছে ভারত। এমাসের তৃতীয় সপ্তাহের কোনও এক দিনে শুরু হচ্ছে ইসরোর মঙ্গল অভিযান। মঙ্গলের কক্ষপথে যাবে ইসরোর উপগ্রহ। এদিন সেই উপগ্রহের ছবি প্রকাশ করল ইসরো।
উপগ্রহের নাম মার্স অরবিটার মিশন বা এমওএম। উপগ্রহে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে কালার ক্যামেরা, মিথেন সেনসর। থাকছে বিশেষভাবে তৈরি থার্মাল ইনফ্রারেড ক্যামেরাও। মঙ্গলের মাটিতে মিথেন আছে কিনা, মঙ্গলের ভূত্বকের উত্তাপের বৈশিষ্ট্য, এসবই অনুসন্ধান করবে ইসরোর উপগ্রহ।
নভোচরহীন এই উপগ্রহ প্রদক্ষিণ করবে মঙ্গলগ্রহকে। পুরো প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ভারতে তৈরি এই উপগ্রহের মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছতে সময় লাগবে ৯ মাস। কিন্তু এই কর্মসূচিকে ঘিরে উঠছে অন্য প্রশ্ন।
ভারতে গরিবের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। এখানে অপুষ্টিতে ভোগেন বহু মানুষ. তাহলে সেসবের মোকাবিলা না করে কেন এত টাকা খরচ করে মঙ্গল অভিযান। উত্তরে বৈজ্ঞানিকদের জোরালে বক্তব্য, মহাকাশ প্রযুক্তি এখন কাজে লাগে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। সেকারণে মহাকাশ অভিযানের মূল্য রয়েছে। ইসরোর পরবর্তী লক্ষ্য, ২০১৪ সালে চাঁদের মাটিতে দূরনিয়ন্ত্রিত চাকাওয়ালা গাড়ির সাহায্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।