Gujarat News: 'তুচ্ছ' কারণে ভয়ংকর কাণ্ড, মেয়েকে পরপর ২৫ বার ছুরির কোপ বাবার
Gujarat News: কয়েকদিন আগেই দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় ১৬ বছরের কিশোরী প্রেমিকার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক যুবক। সবার চোখের সামনেই ছুরি দিয়ে ২২ বার কোপায় ওই কিশোরীকে। তারপর ফিরে যায়। তারপর একটা পাথর তুলে নিয়ে আসে। সেই পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ওই কিশোরীর মাথাও
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েক দিন আগেই দিল্লির রোহিনী এলাকায় এক যুবক ২০ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করে তার কিশোরী প্রেমিকাকে। সেই ভিডিয়ো তোলাপাড় করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার সেরকমই এক ভয়ংকর ভিডিয়ো সামনে এল। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে গুজরাটের সুরাটে এক ব্যক্তি পরপর ২৫ বার ছুরি মেরে খুন করল তার মেয়েকে।
আরও পড়ুন-উপেক্ষার বদলা কিশোরীকে ২২ বার কুপিয়ে খুন! একটা ফোনই ধরিয়ে দিল 'অনুতাপহীন' প্রেমিককে
এমন তুচ্ছ কারণে তর্কতর্কি এবং তার জেরে মেয়েকে এমন নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় চমকে উঠেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, গত ১৮ মে ই ঘটনা ঘটে কাডোডারা এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত মেয়ে ছাদের ঘরে ঘুমানোকে কেন্দ্র করে। এনিয়ে আপত্তি করতেন বাড়ির কর্তা রামানুজ। তার কথা শোনেনি মেয়ে। এনিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো ঝামেলা লেগেই থাকতো। ১৮ মে এনিয়ে বাবা-মেয়ের ঝগড়া শুরু হয় এবং তা চরমে ওঠে। মেয়ের কথা শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন রামানুজ। ছুরি নিয়ে তাড়া করেন মেয়েকে।
বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ হাতে এসেছে পুলিসের। সেখানে দেখা গিয়েছে রামনুজ নির্মমভাবে একের পর এক ছুরির কোপ মেরে চলেছে মেয়েকে। প্রবল চিত্কার করতে করতে প্রাণভয়ে দৌড়ছে মেয়েটি। বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে বাঁচানের চেষ্টা করলে তাদের উপরেও চড়াও হচ্ছে রামানুজ। যাকে হাতের কাছে পাচ্ছে তার উপরেই হামলা করছে। ওই গোলমালের মধ্যেই মেয়েকে নাগালের মধ্যে পেয়ে একের পর এক ছুরির কোপ দিতে থাকে রামনুজ। একসময় নিথর হয়ে যায় কিশোরী।
মেয়ের সাড়শব্দ না পেয়ে এবার স্ত্রীর উপরে আক্রমণ করে রামানুজ। ছুরি নিয়ে দৌড়য় ছাদের ঘর পর্যন্ত। ছেলে মেয়েরা তাকে থামাতে গেলে তারাও ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়। খবর পেয়ে চলে আসে পুলিস। তারা এসে রামানুজকে গ্রেফতার করে। পুলিস জানিয়েছে, ছাদের ঘরে ঘুমাতে যেত। এনিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। তার জেরেই এমন ভয়ংকর কাণ্ড।
কয়েকদিন আগেই দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় ১৬ বছরের কিশোরী প্রেমিকার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক যুবক। সবার চোখের সামনেই ছুরি দিয়ে ২২ বার কোপায় ওই কিশোরীকে। তারপর ফিরে যায়। তারপর একটা পাথর তুলে নিয়ে আসে। সেই পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ওই কিশোরীর মাথাও। এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকে সবাই। তবে কেউ-ই ওই কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই কিশোরী যখন তার বন্ধুর ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে যাচ্ছিল, তখনই সাহিল নামে ওই যুবক তার উপর চড়াও হয়। নৃশংসভাবে তাকে খুন করে সে।
কিশোরী প্রেমিকাকে খুনের পর সেই জায়গা থেকে চম্পট দেয় সাহিল। খুনের তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিস অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেও, প্রথমেই তার নাগাল পায়নি পুলিস। শেষে একটি ফোনের সূত্র ধরে সাহিলকে বুলন্দশহর থেকে খুঁজে বের করে পুলিস। তারপর তাকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর নিজের ফোন বন্ধ করে দেয় সাহিল। তারপর বাসে করে বুলন্দশহরে পৌঁছয়। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে সে। সেখানে পৌঁছে সে তার বাবাকে ফোন করে। সেই ফোনই তার কাল হয়। পৌঁছে যায় পুলিস।