Pakistan | ISI: ফের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ফাঁস, কাশ্মীর-পঞ্জাবে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা ব্যর্থ করল ভারত
Pakistan: তথ্য অনুযায়ী, পঞ্জাব ও জম্মু সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তে টানেল দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সুড়ঙ্গ দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য আইএসআই-এর কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছে জইশ সন্ত্রাসীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুর: পাকিস্তানের আইএসআই এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) একসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম জোরদার করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র করেছে। জানা গিয়েছে, পঞ্জাব এবং জম্মু সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, আইএসআই-এর কাছ থেকে সুড়ঙ্গ দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের নির্দেশ পেয়েছে জইশ সন্ত্রাসবাদীরা।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi | Narendra Modi: আমেরিকায় 'মহব্বত কি দুকান' অনুষ্ঠানে, মোদীকে কড়া আক্রমণ রাহুল গান্ধীর
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, জম্মু ও পঞ্জাবের গুরুদাসপুর সংলগ্ন পাকিস্তানি সীমান্ত থেকে জইশ সন্ত্রাসবাদীদের ভর্তি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জইশ সন্ত্রাসীদের বার্তাগুলি ডিকোড করেছে যেখানে তাদের পঞ্জাব এবং জম্মু সংলগ্ন সীমান্ত অঞ্চলে সুড়ঙ্গ খননের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি গত বছরের মে মাসে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) জম্মুর সাম্বাতে একই রকম একটি সুড়ঙ্গের কথা জানতে পেরেছিল যাকে জইশ সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করা হতো। নিরাপত্তা বাহিনী সুড়ঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারী জইশ-ই-মহম্মদের চার সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছিল। এই কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাবাদীদের একটি বড় ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল।
একজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা অফিসারের মতে, সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ইনপুট ক্রমাগত জম্মুতে পাওয়া যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী দলগুলিকে এখন জম্মু এবং পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য সীমান্তের ওপার থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Operation Pink: ২০০০-এর নোট 'বাতিল' হতেই বাড়ল সোনার দাম! শহরে কালোবাজারির পর্দাফাঁস....
পঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রসবাদী ষড়যন্ত্র চালানোর জন্য সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র সরবরাহের প্রচেষ্টাও চলছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বিরুদ্ধে ড্রোন অভিযানকে দ্রুত করার জন্য, আইএসআই জইশ-ই-মহম্মদের সহায়তায় লাহোরে একটি ড্রোন স্টোরেজ গোডাউন স্থাপন করেছে। সেখানে চিন থেকে আমদানি করা বিপুল সংখ্যক ড্রোন রাখা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ড্রোন স্টোরেজ সেন্টারের কমান্ড হস্তান্তর করা হয়েছে জইশের হাতে। লাহোর সংলগ্ন পঞ্জাব সীমান্তে জইশ সন্ত্রাসবাদীরা এই ড্রোনগুলো নিয়ে যায় শিয়ালকোট পর্যন্ত। সন্ত্রাসবাদীরা পঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক সংলগ্ন জম্মু এবং নারোয়াল সংলগ্ন পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ভারতীয় সীমান্তে ড্রোন প্রবেশের জন্য লঞ্চিং সেন্টার তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআই পঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক এবং গুরুদাসপুরে ড্রোনের মাধ্যমে বড় আকারে অস্ত্র ও মাদক সরবরাহের ষড়যন্ত্রে নিযুক্ত রয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে শত্রুদের যেকোনও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সীমান্তে বিএসএফ ও সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।