Vande Bharat: শুধু প্রস্রাব করতেই চড়েন বন্দে ভারতে! গচ্ছা দিলেন ৬০০০ টাকা...
তিনি উঠে পড়েন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ইন্দোরগামী বন্দে ভারতে। ট্রেনের শৌচালয় ব্যবহারের উদ্দেশে। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭টা ২৪। এখন তিনি শৌচালয় থেকে বেরতে বেরতেই ট্রেন ভোপাল স্টেশন ছেড়ে দেয়। কারণ, ইন্দোরগামী ওই বন্দে ভারতের ছাড়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টা ২৫-এ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো : জোরে প্রস্রাব পেয়ে গিয়েছিল এক ব্যক্তির। সেইসময় স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল বন্দে ভারত। প্রস্রাব করার আর কোনও জায়গা না পেয়ে, চোখের সামনে বন্দে ভারতকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তাতেই চড়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। উদ্দেশ্য একটাই, বন্দে ভারতের শৌচালয় ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজন মেটানো। কিন্তু এর জন্য কড়া মূল্য চোকাতে হল ওই ব্যক্তিকে। গুনে গুনে গচ্ছা দিতে হল কড়কড়ে ৬০০০ টাকা!
তাজ্জব করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল স্টেশনে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে যখন বন্দে ভারতের টয়লেট থেকে বাইরে বের হন, তখন ট্রেন চলতে শুরু করে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রেনের দরজা। ফলে ট্রেনে আটকে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম আবদুল কাদির। হায়দরাবাদ থেকে আসছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবারও ছিল। স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে তিনি হায়দরাবাদ থেকে তাঁর হোমটাউন মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলিতে যাচ্ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী আবদুল কাদিরের ২টি ড্রাই ফুটসের দোকান রয়েছে। একটি হায়দরাবাদে, আরেকটি সিংরাউলিতে।
এখন সিংরাউলিতে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদ থেকে সপরিবারে প্রথমে ভোপাল আসেন আবদুল কাদির। ভোপাল থেকে তারপর সিংরাউলির ট্রেন ধরতেন তাঁরা। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ভোপাল পৌঁছন আবদুল কাদিররা। ওদিকে ভোপাল থেকে সিংরাউলির ট্রেন ছাড়ত রাত প্রায় ৯টায়। ফলে স্টেশনেই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। এমন সময় হঠাৎই জোরে প্রস্রাব পেয়ে যায় আবদুল কাদিরের। যার জন্য তাঁর টয়লেট যাওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর সেই কারণেই তিনি উঠে পড়েন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ইন্দোরগামী বন্দে ভারতে। ট্রেনের শৌচালয় ব্যবহারের উদ্দেশে। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭টা ২৪।
এখন তিনি শৌচালয় থেকে বেরতে বেরতে ট্রেন ভোপাল স্টেশন ছেড়ে দেয়। কারণ, ইন্দোরগামী ওই বন্দে ভারতের ছাড়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টা ২৫-এ। ট্রেন চলতে শুরু করেছে দেখে বিভ্রান্ত কাদির প্রথমে ৩ জন টিকিট পরীক্ষকের কাছে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য সাহায্য় চান। সাহায্য় চান ৪ জন পুলিসকর্মীর কাছেও। কিন্তু সবাই তাঁকে বলেন যে, একমাত্র চালক-ই দরজা খুলতে পারবেন। একথা শুনে কাদির যখন চালকের কেবিনের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ার জন্য ১,০২০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এরপর উজ্জয়িন স্টেশনে ট্রেন থামলে, তিনি ট্রেন থেকে নামেন।
তারপর আরও ৭৫০ টাকা দিয়ে উজ্জয়িন থেকে ভোপালের বাসের টিকিট কাটেন। এদিকে আবদুল কাদির বন্দে ভারতে আটকে পড়ায়, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। স্বামীকে ছাড়া তিনিও আর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল থেকে সিংরাউলিগামী দক্ষিণ এক্সপ্রেসে ওঠেননি। ফলে নষ্ট হয় তাঁদের সিংরাউলি যাওয়ার টিকিটগুলো। ৪০০০ টাকা দিয়ে সেই টিকিট কাটা হয়েছিল। সবমিলিয়ে টয়লেট করতে বন্দে ভারতে চড়ায় প্রায় ৬০০০ টাকা গচ্ছা যায় আবদুল কাদিরের। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুলাই।
আরও পড়ুন, ১০ বছরের নাবালিকা পরিচারিকাকে মেরে চোখে-হাতে কালশিটে! পাইলট দম্পতিকে বেধড়ক মার