এনআরসি থেকে বাদ এক লক্ষ গোর্খা! টুইটে সরব মমতা
আজ টুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এনআরসি নিয়ে খবর আসতেই অবাক হই। এক লক্ষ গোর্খা বাদ পড়েছে বলে এ দিন দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকালই এনআরসি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, তিনি বুঝতে পেরেছেন এনআরসির ব্যর্থতা কোথায়। আজ টুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এনআরসি নিয়ে খবর আসতেই অবাক হই। এক লক্ষ গোর্খা বাদ পড়েছে বলে এ দিন দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম নেই। ওই তালিকায় শুধুই সাধারণ মানুষই বাদ পড়েননি সমাজের বিশিষ্ট জনেরাও তালিকাছুট হয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুউদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারের নাম নেই ওই তালিকায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রকৃত ভারতবাসীরা যেন বাদ না পড়েন এবং তাঁদের প্রতি সঠিক বিচার হয়, সে দিকে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।”
Government must take care that genuine Indians are not left out and justice is meted out to all of our genuine Indian brothers and sisters. (3/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 1, 2019
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় বিজেপির কাছেই। অসমের রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনআরসি নিয়ে। খোদ মন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ১৯৭১ সালের উদ্বাস্তু প্রমাণপত্র দেখিয়েও অনেকে ওই তালিকায় জায়গা পায়নি। অনেকে অবৈধভাবে তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছে। তালিকাছুটের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে হিমান্ত দাবি করেন।
এনআরসি নিয়ে কংগ্রেস, অল অসম স্টু়ডেন্ট ইউনিয়ন (আসু), অসম গণ পরিষদ (অগপ)-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল সরব হয় এনআরসির তালিকা নিয়ে। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ওই তালিকায় জায়গা পাননি ভারতীয়রা। বিদেশিরাই জায়গা পেয়েছে। আসু সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।