Amartya Sen on Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মমতার: অমর্ত্য সেন
অমর্ত্য সেন বলেন, বিজেপি দাবি করে দেশের জন্য তাদের একটি ভিশন রয়েছে। পাশাপাশি কারা প্রকাশ্যেই হিন্দু ঘেঁসা। তার পরেও বিজেপির জায়গা কেউ নিতে পারবে না এটা ভাবলে মনে হয় ভুল হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তির অন্যতম প্রধান মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তৃণমূল নেত্রীর দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যোগ্যতা রয়েছে বলে মনে করেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক শক্তিগুলির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন অমর্ত্য।
আরও পড়ুন-বিস্ফোরক বিজয়, সামনে আনলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য, তোপ দাগলেন বোর্ডের বিরুদ্ধে!বিস্ফোরক বিজয়, সামনে আনলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য, তোপ দাগলেন বোর্ডের বিরুদ্ধে!
আগামী লোকসভা নির্বাচন বিজেপির জন্য একেবারে বাধাহীন হবে বলে মনে করেন না অমর্ত্য সেন। তাঁর অভিমত, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঘোড়াই একমাত্র দৌড়বে, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আঞ্চলিক দলগুলির একটা বড় ভূমিকা থাকবে। তৃণমূল নেত্রীর দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব ক্ষমতাই রয়েছে। তবে দেখতে হবে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া আমজনতার ক্ষোভ নিজের দিকে টানতে পারেন কিনা। বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে ডিএমকের বড় ভূমিকা রয়েছে। তৃণমূল তো নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টিরও একটা বড় জায়গা রয়েছে।
ওই সাক্ষাতকারে অমর্ত্য সেন বলেন, বিজেপি দাবি করে দেশের জন্য তাদের একটি ভিশন রয়েছে। পাশাপাশি কারা প্রকাশ্যেই হিন্দু ঘেঁসা। তার পরেও বিজেপির জায়গা কেউ নিতে পারবে না এটা ভাবলে মনে হয় ভুল হবে। এখন ভারত সম্পর্কে বিজেপির ভিশনে অনেক বদল হয়েছে। ভারত বলতে তারা বোঝাতে চাইছে, ভারত মানেই হিন্দু ও হিন্দি বলা মানুষজন। বিজেপিকে যতই শক্তিশালী দেখাক না কেন তারও দুর্বলতা রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলিকে তা খুঁজে বের করে তাকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারে।
উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক আঞ্চলিক দল দেশের বিভিন্ন অংশে সক্রিয়। তৃণমূলের পাশাপাশি, এনসিপি, টিআরএস, আপ। এরা সবাই মিলে একটি ফ্রন্ট গড়ার তৈরি করেছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু বিরোধীদের সেই চেষ্টা অবশ্য মুখ থুবড়ে পড়ে। অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে ফল করেছে তাতে যোগী রাজ্যে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন। কংগ্রেস নিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, কংগ্রেস এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এই দলটাকে কতটা টেনে তোলা সম্ভব বা মানুষ এখন কংগ্রেসের উপরে আস্থা রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।