রক্তে মিলল সীসা (Lead), নিকেল (Nickel)! অন্ধ্রের (Andhra) অজানা রোগের কারণ খুঁজতে হিমশিম বিশেষজ্ঞরা
আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪০০ পার, প্রত্য়েকেই খিঁচুনি, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব আর অজ্ঞান হয়ে যান বলে জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একে করোনায় রক্ষে নেই, তার উপর আবার আরেক অজানা রোগ সঙ্গী হয়েছে! আর তাতেই ঘুম ছুটেছে অন্ধ্রপ্রদেশবাসীর। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এক অজানা রোগ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু শহরজুড়ে। আক্রান্তদের শরীরে উপসর্গ বলতে মাথা ঘুরছে আর মুখে ফেনা উঠছে। ডিসম্বরের ৫ তারিখ থেকে এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এলুরুতে। ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৪৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই অজানা রোগে। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪৫ জন শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১২ বছরের নীচে।
অজানা রোগের প্রকোপ দেখা দিতেই এইমস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি ও সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি থেকে প্রতিনিধি দল এলুরু গিয়ে পৌঁছয়। আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। সেই রিপোর্ট আসতেই দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের রক্তে মিলেছে সীসা ও নিকেল। প্রত্য়েকেই খিঁচুনি, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব আর অজ্ঞান হয়ে যান বলে জানিয়েছেন। তবে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির দফতরের তরফে।
কী করে ওই এলাকার মানুষের শরীরে সীসা ও নিকেল ঢুকল, তাও যথাযথ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। প্রতিটি দফতরকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, অজানা রোগের কারণে ইতিমধ্যেই ৪৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু হয়েছে। এই অজানা রোগটি কী, এর কারণ কী, তা খুঁজে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সকরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে তাঁরা উপনীত হতে পারেননি।
আরও পড়ুন,
সুস্থ হওয়ার ৩ মাসের মাথায় ফের কোভিডে আক্রান্ত হুগলির চিকিত্সক
সাধারণ বাল্ব বিক্রি হয়ে গেল ৯ লাখ টাকায়, ঠকবাজি বুঝতে সময় লাগল ব্যবসায়ীর