সন্ত্রাসবাদ ছাড়া অন্য সব অপরাধের ক্ষেত্রে দেশ থেকে উঠে যাক মৃত্যদণ্ড, সুপারিশ কেন্দ্রীয় আইন কমিশনের
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছাড়া অন্য সব অপরাধের ক্ষেত্রে দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার পক্ষে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় আইন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির জানিয়েছেন যে, আইন কমিশন তার ২৬২তম রিপোর্টে আজ এই সুপারিশ করে তা রাজ্যসভায় জমা দিয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেছেন, "যেহেতু ক্রিমিনাল ল ও ক্রিমিনাল প্রসেডিয়র সংবিধানের ৭ম তফসিলের যুগ্মতালিকার (কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্মতালিকা) অন্তর্গত, তাই নিজেদের মতামত জানানোর জন্য প্রতিটি রাজ্যকেও এই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে"।
ওয়েব ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছাড়া অন্য সব অপরাধের ক্ষেত্রে দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার পক্ষে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় আইন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির জানিয়েছেন যে, আইন কমিশন তার ২৬২তম রিপোর্টে আজ এই সুপারিশ করে তা রাজ্যসভায় জমা দিয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেছেন, "যেহেতু ক্রিমিনাল ল ও ক্রিমিনাল প্রসেডিয়র সংবিধানের ৭ম তফসিলের যুগ্মতালিকার (কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্মতালিকা) অন্তর্গত, তাই নিজেদের মতামত জানানোর জন্য প্রতিটি রাজ্যকেও এই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে"।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজকের আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের মতো একটি 'আদিম শাস্তি'র আদৌ কোনও প্রয়োজন রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন বারংবার তুলেছেন মৃত্যদণ্ড বিরোধীরা। তাঁদের মূল বক্তব্য, বর্তমানে কয়েদ বা জেলখানার পরিবর্তে সংশোধনাগার শব্দটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ বিচারের মাধ্যমে অপরাধীর দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে সংশোধন প্রক্রিয়ার অঙ্গ করে সংশোধীত করাই বিচার ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলে তাঁর আর সংশোধীত হওয়ার কোনও সুযোগই থাকে না। ফলে, মৃত্যদণ্ড বহাল রাখার অর্থ, বিচার প্রক্রিয়ার অন্তর্নিহিত আদর্শ এবং দর্শণকেই চূড়ান্ত লঙ্ঘিত করা।
অন্যদিকে, মৃত্যদণ্ডের সমর্থকদের সোজাসাপ্টা দাবি, যে মানুষ অন্যের বেঁচে থাকার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না তাঁরও জীবিত থাকার অধিকারও স্বীকৃত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু এসবের পরও 'সুচিন্তিত বিচার প্রক্রিয়ার' মধ্য দিয়ে কোনও মূল্যেই একটি জীবন কেড়ে নেওয়ার নৈতিক অধিকার বোধ হয় রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার হাতে থাকে না, সম্ভবত একথা অনুভব করেই দেশের আইন কমিশন আজ এমন সুপারিশ করেছে বলে মনে করছেন মৃত্যদণ্ড বিরোধীরা।