রাজনীতির হাজারো জল্পনা উস্কে দিয়ে জেল যাচ্ছেন লালু, চলছে সুবিধা-অসুবিধার হিসাবনিকাশ

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব। আর এই সিবিআই আদালতের রায়ই দিল্লির রাজনীতিতে হাজারো জল্পনা উস্কে দিচ্ছে। লালুর জেলযাত্রা লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে কতটা ধাক্কা দিল আর বিজেপির কতটা সুবিধা করে দিল এসব নিয়েই চলছে হিসেব নিকেশ। জেল যাত্রা প্রায় অনিবার্য লালু প্রসাদ যাদবের। তারপর? বিহার তো বটেই, সে প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির সবর্ত্র।

Updated By: Oct 1, 2013, 09:38 PM IST

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব। আর এই সিবিআই আদালতের রায়ই দিল্লির রাজনীতিতে হাজারো জল্পনা উস্কে দিচ্ছে। লালুর জেলযাত্রা লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে কতটা ধাক্কা দিল আর বিজেপির কতটা সুবিধা করে দিল এসব নিয়েই চলছে হিসেব নিকেশ। জেল যাত্রা প্রায় অনিবার্য লালু প্রসাদ যাদবের। তারপর? বিহার তো বটেই, সে প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির সবর্ত্র।
দু বছরের বেশি সাজা হলেই লালুকে ছাড়তে হবে সাংসদ পদ। শুধু তাই নয়। আগামী পাঁচ বছর ভোটেও দাঁড়াতে পারবেন না। অর্থাত্‍ দুহাজার চোদ্দর লোকসভা নির্বাচন লালুকে ছাড়াই লড়তে হবে আরজেডিকে।
আরজেডির হাল কে ধরবে? যেই ধরুন লালু ক্যারিশমা আনতে পারবেন কী? আর কী হবে জোট সমীকরণের? লালুর দল আরজেডি যে গুরুত্ব পেয়েছে জাতীয় রাজনীতি। লালুহীন আরজেডি কি সেই গুরুত্ব পাবে? আশা কম। কারণ লালুর চির শত্রু নীতিশ। মোদী বিতর্কে সম্প্রতি এনডিএ ছেড়েছেন নীতিশ কুমার। আর সঙ্গে সঙ্গে নীতিশ কে নিজেদের শিবিরে টানতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সাহায্যে নীতিশের হাত ভরাচ্ছেন মনমোহন। যতই নীতিশের শক্তি বাড়ছে ততই গুরুত্ব হারাচ্ছে লালুর দল আরজেডি।
 
শুধু লালুর মত বিশ্বস্ত সঙ্গিই নয় কংগ্রেসের ঘর ভেঙেছে মমতার সঙ্গেও। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ভাঙন জুড়বে কিনা তা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন সেই বিতর্কে নতুন ইন্ধন জুগিয়েছেন দশ জনপথের কাছের লোক জয়রাম রমেশ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি গোপনে  বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন।
 
নীতিশের মতই নবীনকেও কাছে টানতে মরিয়া কংগ্রেস। তাই ওড়িশার ক্ষেত্রেও বিহারের মতই দরাজ মনমোহন সরকার। কিন্তু মনমোহনের প্যাকেজ নিয়ে শেষপর্যন্ত নীতিশ-নবীন সোনিয়া শিবিরেই থেকে যাবেন এমন হলফ করে বলতে পারছেন না কেউই। আঞ্চলিক নেতাদের এই দোলাচলই এখন বিজেপির শক্তি। জোট প্রশ্নে সোনিয়ার ঠিক উল্টো স্ট্যাটেজি নিয়েছেন মোদীরা। কংগ্রেসের আগেই দেশ জুড়ে প্রচারে নেমে ভোটের হাওয়া তুলতে শুরু করেছেন গুজরাট প্রধান। বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করছে দলের সাংসদ সংখ্যা সরকার গড়ার জায়গায়  নিয়ে যেতে পারলে নবীন-নীতিশদের জয় করা কঠিন হবে না। তাই বিজেপির স্ট্যাটেজি আগে ভোট পরে জোট।  

.