নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৫ জুন রাতে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পরও গালওয়ানের উত্তেজনা এখনও কমেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আজ দুদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা। এরকম এক পরিস্থিতিতে গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দু'দিকে দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের ১০০০ সেনা।
আরও পড়ুন-ফের রেকর্ড! দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৪.২৫ লাখ,একদিনে মৃত ৪৪৫
গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ তে ওই পরিস্থিতি হলেও প্যাঙ্গন টিসো-তেও উত্তেজনা রয়েছে। দুদেশেই সেখানে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। সীমান্তের ভেতরে ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ জমা করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, গালওয়ানের সংঘর্ষের পর কোনও কিছুই বদল হয়নি। নতুন করে কোনও সংঘর্ষ না হলেও পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ গালওয়ান ও প্যাঙ্গন লেকের কাছে বিপুল সেনা সমাবেশ করছে দুদেশ।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর দুই শিবিরের মধ্যে বিশ্বাসের একটা অভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় এলএসি-র কাছ থেকে সেনা সরানো নাও হতে পারে। চিনা আগ্রাসন ফের হলে ভারত সেনা পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে বিশেষ অভিযানও হতে পারে।
লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে অনেক বৈঠকই হয়েছে কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বরং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গালওয়ানে চিনা পোস্ট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুন-চিন বাড়াবাড়ি করলে এবার গোলাগুলিও ছুঁড়বে ভারতীয় সেনা, দশকব্যাপী নিয়মের বদল
প্যাঙ্গন লেকের ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত চিনা সেনা মোতায়েন করেছে। ওই এলাকাগুলি ছিল গ্রে এরিয়া। ফিঙ্গার ১ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতের দলে রয়েছে। এখন গোটা এলাকাটাই দখলের মতলবে রয়েছে চিন। সম্প্রতি প্যাঙ্গন লেকের ফিঙ্গার ৪-এ বিপুল সেনা জড়ো করেছে চিন।
এদিকে, সীমান্ত উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি বুঝে সেনাকে আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। প্রটোকল অনুযায়ী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনও ফায়ার আর্মস ব্যবহার করা যায় না। তবে সূত্রের খবর, সেনা যদি মনে করে আত্মরক্ষায় অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে তাহলে তা প্রটোকল ভাঙা যেতে পারে।
গালওয়ানে উত্তেজনা চরমে, LAC-র দু'দিকে মোতায়েন দু'পক্ষের হাজার সেনা