জলপ্লাবিত কাজিরাঙায় বন্যপ্রাণীর মৃত্যু অব্যাহত
ভয়াবহ বন্যায় শনিবার পর্যম্ত অসমে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২১। এই বন্যায় অর্ধশতাধিক মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫৪০ টি জীবজন্তু মারা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বখ্যাত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ১৩টি গন্ডার।
ভয়াবহ বন্যায় শনিবার পর্যম্ত অসমে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২১। এই বন্যায় অর্ধশতাধিক মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫৪০ টি জীবজন্তু মারা গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বখ্যাত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ১৩টি গন্ডার।
উদ্যানের ৮০ শতাংশ জলের তলায় থাকায় প্রায় ৪৬৫টির মতো পাড়া হরিণ বা হগ ডিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। উদ্যান সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে ১০টি বারশিঙ্গা হরিণ, ৫টি সজারু, ২৮টি বুনো শুয়োর, ১৬টি সম্বর হরিণ, ২টি পাইথন এবং বেশ কয়েকটি বুনো মহিষ ও হগ ব্যাজার। ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন কাজিরাঙা উদ্যানের নীচু অংশ ২৬শে জুন থেকে জলের তলায় থাকায়, ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে কার্বি আংলং পাহাড়ের উচু অংশে আশ্রয় নিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে বন্যপ্রাণীরা। আর তার ফলে গাড়ির ধাক্কা এবং চোরাশিকারিদের গুলিতে বেশ কিছু প্রাণী প্রাণ হারিয়েছে।
সরকারি সুত্রে প্রাপ্ত খবর, নিম্ন অসামের ধুবরি ও জোড়হাটের নিমাতিঘাট এলাকায় বহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইলেও ধুবড়ি এলাকায় জল নীচ দিয়েই বইছে। সরকারের দেওয়া তত্ত্ব অনুযায়ী রাজ্যের ২৭টি জেলার প্রায় ২১ লক্ষ লোক ২২ জুনের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ, ৫ লাখের উপর লোক ঘরছাড়া, তিন হাজারের কাছাকাছি গ্রাম কার্যত নিশ্চিহ্ন ও একটা বিশাল অংশের চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্থ। রাজ্য সরকার বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ৬২২টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। যার ৪০৫টি তে ৩ লক্ষেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এই ভয়াবহ বন্যায় সড়ক, উড়ালপুল সহ সমস্ত যোগাযোগ ব্যাবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বন্যাধ্বস্ত অসম সফরে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছেন।