Gruesome murder: এবার ২২-এর তরুণী রুবিকাকে১৮ টুকরো করল বর্বর...
২২ বছরের আদিবাসী তরুণীকে টুকরো টুকরো করল স্বামী। এখনও পর্যন্ত সেই দেহের ১২ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিস। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী সাহেবগঞ্জের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছিলেন। নাম রুবিকা পাহাড়ি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনা মানুষের স্মৃতিতে এখনও তরতাজা। তারই মধ্যে আরও এক বর্বরোচিত ঘটনা ঘটল ঝাড়ঘণ্ডে। ২২ বছরের আদিবাসী তরুণীকে টুকরো টুকরো করল স্বামী। এখনও পর্যন্ত সেই দেহের ১২ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিস। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী সাহেবগঞ্জের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছিলেন। নাম রুবিকা পাহাড়ি। তার স্বামী অভিযুক্ত দিলদার আনসারিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন,Prashant Kishor: 'এখনই তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করুন', নীতীশকে 'বুদ্ধি দিলেন' প্রশান্ত কিশোর
রুবিকার দেহ ১৮ টুকরো করে আনসারি। তারমধ্যে দেহের ১৮টি টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিস। তার দেহের বাকি টুকরোগুলোর খোঁজে পুলিস। সূত্রের খবর, দু-বছর ধরে লিভ ইনে ছিলেন রুবিকা ও আনসারি। গ্রেফতারি এড়াতে তরুণীকে খুন করে টুকরো করার পর আনসারি পুলিস স্টেশনে আসে নিখোঁজ মামলা করতে। শনিবার সন্ধ্যে ৬ টায় সাঁওতালি মোমিন তলার একটি পুরনো বাড়ি থেকে তরুণীর দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তরুণী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এতদিন একসঙ্গে থাকছিল।
The deceased was chopped off into 18 pieces. As far as the question as to who was involved as the accused, the investigation is going on: Sudarshan Prasad Mandal, DIG Santhal on woman murdered and chopped off in Sahibganj, Jharkhand pic.twitter.com/YJG5qACTmC
— ANI (@ANI) December 18, 2022
অন্যদিকে, জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে নাকি ওই তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন দিলদার আনসারি। রুবিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ডিআইজি সুদর্শন প্রসাদ মণ্ডল বলেন, "রুবিকা পাহাড়ি দিলদার আনসারির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। আগে দিলদারের আরও একটি স্ত্রী রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে। এতে রুবিকাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে দেয় দিলদার। তদন্তে তার স্বামীর জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে।''
তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে রুবিরাকে ১৮ টুকরো করেছে সে। এখনও পর্যন্ত দিলদার ছাড়া আর কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে। বোরিও সানথালি এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণের পিছনে মানুষের দেহের একটি অংশ রয়েছে। এরপরই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস। জি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত দিলদার আনসারির মামার কাছ থেকে দুটি ধারালো অস্ত্র পেয়েছে পুলিস। তবে মূল অভিযুক্ত তরুণীর স্বামী বলেই মনে করছে পুলিস।