হরিয়ানায় সিবিএসই-র শীর্ষ স্থানাধিকারীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত সেনা জওয়ান
অভিযুক্ত ৩ জনের ছবি প্রকাশ করল পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানার রিওয়ারিতে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ জনের সবাইকেই চিহ্নিত করে ফেলল পুলিস। এদের সবার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিসের ডিজিপি এ সান্ধু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ওই অভিযুক্ত একজন সেনা জওয়ান। ওই জওয়ান বর্তমানে রাজস্থানের কোটায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
#Rewari gang-rape case: Rewari police has released photos of the three accused, Manish (pic 1), Nishu (pic 2) and Pankaj - an Army personnel (pic 3). #Haryana pic.twitter.com/RLbEatFGU5
— ANI (@ANI) September 15, 2018
আরও পড়ুন-'৭ মিনিটে খেল খতম!' নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্বামীকে খুন করান স্ত্রী
উল্লেখ্য, রিয়ারির ওই ছাত্রী সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন। পুরস্কার নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। ফলে বুধবার এহেন এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে।
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয় পুলিস। ইতিমধ্যেই পুলিস ৩ অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে। মণীষ, নিসু ও পঙ্কজ নামে ওই তিনজনের মধ্যে পঙ্কজ সেনাবাহনীতে কর্মরত।
Case registered. The 3 culprits have been identified,one of whom is an Army personnel. We're issuing warrant against him.Hope arrests will be made by this evening.ADG Rewari will conduct enquiry to see if there was a negligence by police dept: Haryana DGP on Rewari gang-rape case pic.twitter.com/YSWs2ltrQE
— ANI (@ANI) September 15, 2018
অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি নাগাল পাওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন হরিয়ানার ডিজিপি এস সান্ধু। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতীতার অভিযোগ নিতে পুলিসের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযুক্তদের সম্পর্কে খবর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পুলিস সুপার নাজনিন ভাসিন। শনিবার তিনি বলেন, নির্যাতীতার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিসের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো খুনে গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতির ছেলে
প্রসঙ্গত, বুধবার কোচিং সেন্টার থেকে ঘরে ফিরছিলেন এই কৃতী ছাত্রী। রাস্তায় তার পথ আটকায় একটি গাড়ি। গাড়িতে থাকা তিনজন তাঁকে তুলে নেয় ও নিকটবর্তি একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সবাই তার গ্রামের বাসিন্দা।
নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ক্ষোভে যন্ত্রণায় কাতর ছাত্রীটির মা বলেন, "আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিস এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি"।