লালুর টিকিটে রামবিলাসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন তাঁর মেয়ে! বাড়ছে জল্পনা
জামাই অনিল সাধুর অভিযোগ, দলের তফসিলি সম্প্রদায়ের সাংসদের আক্রমণ করছে দলেরই একাংশ। রাম বিলাস নিজে পিছিয়ে পড়া জনজাতির প্রতিনিধি হয়েও এ ব্যাপারে উদাসীন থেকেছেন। পাশাপাশি পরিবারের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন অনিল সাধু
নিজস্ব প্রতবিদেন: লোক জনশক্তি পার্টির সুপ্রিমো তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের বিরুদ্ধে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন তাঁর মেয়ে আশা। এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রামবিলাসের জামাইয়ের মন্তব্যে। আশার স্বামী অনিল সাধু জানিয়েছেন, আলোচনা চলছে লালুপ্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। আরজেডি টিকিট দিলেই রামবিলাসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে প্রথম পক্ষের মেয়ে আশার। হঠাত্ বাবার বিরুদ্ধে কেন ভোটে দাঁড়াছেন তাঁর মেয়ে?
আরও পড়ুন- জেটলির দিনলিপি প্রকাশ করে মালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ নাকচ করল বিজেপি
জামাই অনিল সাধুর অভিযোগ, দলের তফসিলি সম্প্রদায়ের সাংসদের আক্রমণ করছে দলেরই একাংশ। রাম বিলাস নিজে পিছিয়ে পড়া জনজাতির প্রতিনিধি হয়েও এ ব্যাপারে উদাসীন থেকেছেন। পাশাপাশি পরিবারের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন অনিল সাধু। তিনি জানান, রাম বিলাস তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানদের প্রতি দ্বিচারিতা করছেন। অভিযোগ, যেখানে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদের ভোটে টিকিট দিয়ে সাংসদ বানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী পাসোয়ান। তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান গত লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। পাশাপাশি তাঁকে লোক জনশক্তি পার্টির সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারপদে বসান রাম বিলাস।
আরও পড়ুন- ১২ ঘণ্টা ডিউটির পর খাবার জল দিয়ে রুটি! বৃদ্ধ রক্ষীর ভিডিয়ো যেন দেশের ছবি
উল্লেখ্য, গত লোকসভায় হাজিপুর কেন্দ্র (সংরক্ষিত আসন) থেকে রামবিলাস, জামুই (সংরক্ষিত আসন) থেকে তাঁর ছেলে চিরাগ, সমস্তিপুর (সংরক্ষিত আসন) থেকে রাম বিলাসের ছোটো ভাই রাম চন্দ্র পাসোয়ান দাঁড়িয়ে সাংসদ হয়েছেন। অন্য দিকে নীতীশের মন্ত্রিসভার বিধায়ক হয়েছেন রাম বিলাসের ভাই পশুপতি কুমার পরস। কিন্তু রামবিলাসের প্রথম পক্ষের সন্তানদের সে ভাবে তিনি নজর দেননি বলে অভিযোগ অনিল সাধুর।
চার বারের প্রাক্তন বিধায়ক পুতিন রাইয়ের ছেলে অনিল সাধু। তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরের বিরুদ্ধে এ বারের নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্য ইতিমধ্যে লালু প্রসাদ এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কথা বলেন। অনিলের দাবি, তাঁরা এ বিষয়ে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিহার নির্বাচনে মাসৌরি কেন্দ্র থেকে লোক জনশক্তি পার্টির টিকিটে দাঁড়ালেও জয় পাননি অনিল সাধু।