২০১২ সালের অসমের জাতিসংঘর্ষের পরিকল্পনার পিছনে জামাত-উল-মুজাহিদিন, দাবি এনআইএ-র

খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল NIA। ২০১২ সালে অসমে জাতিসংঘর্ষের ঘটনার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের। খাগড়াগড়কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলম, রফিকুল ইসলাম ও সইফুল ইসলামও সামিল ছিল গোটা পরিকল্পনায়। এমনই দাবি NIAর।  

Updated By: Jan 3, 2015, 10:21 PM IST
২০১২ সালের অসমের জাতিসংঘর্ষের পরিকল্পনার পিছনে জামাত-উল-মুজাহিদিন, দাবি এনআইএ-র

ব্যুরো: খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল NIA। ২০১২ সালে অসমে জাতিসংঘর্ষের ঘটনার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের। খাগড়াগড়কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলম, রফিকুল ইসলাম ও সইফুল ইসলামও সামিল ছিল গোটা পরিকল্পনায়। এমনই দাবি NIAর।  

রাজ্যের বুকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জাল কতটা ছড়িয়েছিল তার অন্যতম নজির খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড। এবার সেই খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তে নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল NIA। ২০১২ সালে অসমে জাতিসংঘর্ষের ঘটনা পুরোটাই জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের মস্তিষ্কপ্রসূত।

পরিকল্পনায় সামিল ছিল খাগড়াগড়কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলম, রফিকুল ইসলাম ও সইফুল ইসলাম। শাহনুর আলম জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতা। NIA সূত্রে খবর, মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক ছবি  দেশজুড়ে পোস্ট করা হয়েছিল  বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। যদিও সেই ছবিগুলি সবকটি জাল বলে দাবি করেছে NIA।

 পরিকল্পিতভাবে ছবিগুলি ছড়ানোর পর পুণে, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, হায়দরাবাদের মত শহরে উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষের ওপর শুরু হয় আক্রমণ। যার ফলে লক্ষাধিক মানুষ ফিরে আসতে বাধ্য হন উত্তরপূর্ব ভারতে।

এরই পাল্টা হিসাবে কার্যত পুনর্জন্ম হয় NDFB সংবিজিত গোষ্ঠীর। নামনি অসম জুড়ে সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর হামলা শুরু করে সংবিজিত গোষ্ঠীর সদস্যরা। অসমে জাতিসংঘর্ষের সময় উত্তরপূর্ব ভারতে খোলা হয় দুশো সত্তরটি ত্রাণ শিবির। পরবর্তীকালে এই ত্রাণ শিবিরগুলি থেকে নিয়োগ শুরু করে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি।  এই সংক্রান্ত তথ্য আরও বিশদে পেতেই শাহনুর আলম, রফিকুল ও সইফুলকে  নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় NIA। শনিবার খাগড়াগড়কাণ্ডে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে  তিনজনকে সাত দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

 

.