আইআরসিটিসির তত্কাল টিকিট বুকিংয়ে বড়সড় দুর্নীতিচক্র ফাঁস, গ্রেফতার সিবিআই আধিকারিক
আপত্কালীন ভিত্তিতে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ভরসা তত্কাল টিকিট। কাউন্টারের পাশাপাশি আইআরসিটিসি-র ওয়েব সাইট থেকেও তত্কাল টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গত একবছর ধরে অনলাইনে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বারংবার সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়েই হদিশ মিলল অনলাইনে তত্কাল টিকিট কাটার পিছনে বড়সড় দুর্নীতি চক্র। আর এই দুর্নীতি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আপত্কালীন ভিত্তিতে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ভরসা তত্কাল টিকিট। কাউন্টারের পাশাপাশি আইআরসিটিসি-র ওয়েব সাইট থেকেও তত্কাল টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গত একবছর ধরে অনলাইনে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বারংবার সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়েই হদিশ মিলল অনলাইনে তত্কাল টিকিট কাটার পিছনে বড়সড় দুর্নীতি চক্র। আর এই দুর্নীতি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক।
কয়েদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল, অনলাইনে হাজার চেষ্টা করেও কোনওভাবেই তত্কাল টিকিট কাটতে পারছিলেন না গ্রাহকরা। দেখা যাচ্ছিল, প্রয়োজনীয় তথ্য ফিলআপ করার সময়, নিমেষের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল সব তত্কাল টিকিট। এদিকে, সেই তত্কাল টিকিটই বাইরে থেকে এজেন্টদের কাছে পাওয়া যাচ্ছিল চড়া টাকার বিনিময়ে। কখনও ৫০০ টাকা আবার কখনও তারও বেশি টাকায় এজেন্টদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছিল তত্কাল টিকিট।
ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা হদিশ পায় আইআরসিটিসির তত্কাল টিকিট নিয়ে এক বড়সড় দুর্নীতি চক্রের। জানা যায়, অজয় গর্গ নামে সিবিআইয়ের এক প্রাক্তন প্রোগ্রামার একটি বেআইনি সফটওয়্যার তৈরি করেন। অসাধু ট্রাভেল এজেন্টরা সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রথমেই ৮০০ থেকে ১০০০টি টিকিট একসঙ্গে কেটে নিচ্ছিল। ফলে অনলাইনে আর কোনও টিকিট পাচ্ছিলেন না সাধারণ মানুষ। তারপর আগাম কেটে রাখা ওই টিকিটগুলি ট্রাভেল এজেন্টরা চড়া দামে বিক্রি করছিলেন সাধারণের কাছে।
আরও পড়ুন, ভারতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে পাকিস্তান, কুলভূষণ ইস্যুতে তোপ সুষমার
২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন গর্গ। এরপর তিনি সিবিআইতে যোগ দেন। ভারতীয় রেলওয়েতে কাজ করার সুবাদে আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটের সব ফাঁকফোঁকরই তাঁর জানা ছিল। আর সেই সুযোগ নিয়েই নকল ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছিলেন গর্গ।