ভারতীয় কনের 'নকশী লেহেঙ্গা'য় অমরত্ব পেল প্রেম

Updated By: Jan 29, 2017, 01:48 PM IST
ভারতীয় কনের 'নকশী লেহেঙ্গা'য় অমরত্ব পেল প্রেম

সুদেষ্ণা পাল

"আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে
নীরবে বসিয়া কোন কথা যেন কহিতেছে কানে কানে...."

        প্রথম দেখা থেকে বিয়ের দিন। বর্ষারাতের প্রেম থেকে বিরহের যন্ত্রণার দিনগুলো। কাঁথার উপর সুঁচ-সুতোয় সেই গল্পই ফুটিয়ে তুলেছিল সাজু। রূপাইয়ের জন্য তাঁর অনন্ত অপেক্ষা, তাঁর প্রেম ফুটে উঠেছিল 'নকশী কাঁথায়'। মৃত্যুর পরেও রূপাইয়ের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চায়নি সে। 'নকশী কাঁথা' বিছানো থাকত সাজুর কবরে। একদিন সকালে 'নকশী কাঁথা' জড়িয়েই সাজুর সঙ্গে 'আলিঙ্গনে' চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়ে যায় রূপাইও। কবি জসিমউদ্দিনের বিখ্যাত কবিতা "নকশী কাঁথার মাঠ"। সেটা ছিল কবিতা, আর এটা বাস্তব... নকশায় স্থান পেল প্রেমের মুহূর্ত। জীবনের বিশেষ দিনে 'অমরত্ব' পেল প্রেম।

ভারতীয় কনে ক্রেষা বাজাজ। পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। নিজের বিয়েতে তৈরি করলেন 'ইতিহাস'। নিপুণ হাতে সুচারু দক্ষতায় বিয়ের লেহেঙ্গায় ফুটিয়ে তুললেন দুলহা ভনরাজ জাভেরির সঙ্গে তাঁর প্রেমের মোমেন্টস। একের পর এক। দুজনে মিলে সমুদ্র সৈকতে বসে সময় কাটানো থেকে নৌকায় সফর। লেহেঙ্গার নকশায় ফুটে উঠেছে সবই।

ক্রেষা জানান, ভারী ট্র্যাডিশনাল আউটফিটে তিনি কোনওদিনই খুব বেশি 'কমফর্টেবল' ছিলেন না। কিন্তু নিজে ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে বিয়ের পোশাক নিয়ে নতুনত্ব কিছু করতে চেয়েছিলেন। আর তা থেকেই বিয়ের লেহেঙ্গাকে আর্ট-পিস বানানোর ভাবনা মাথায় আসে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।

লেহেঙ্গায় ফুটে উঠেছে দুজনে একসঙ্গে কাটানো বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত। মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ভনরাজের বিয়ের জন্য প্রোপজের পর ক্রেষার এনগেজমেন্ট রিং পরা হাতে শ্যাম্পেনের গ্লাস। পুরো লেহেঙ্গা জুড়েই জারি কাজে লেখা দুলহা-দুলহানের নাম।

লেহেঙ্গার একদম বর্ডারে ও দোপাট্টায় ডলফিনের নকশা। প্রথমে অবশ্য বেশকিছুটা নার্ভাসই ছিলেন ক্রেষা। তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন ভনরাজই। বিয়ের জন্য স্ত্রীর গয়নার নকশাও করেছেন তিনি নিজে।

আরও পড়ুন, ৯০ মিনিট ধরে জলের তলায় 'ঝিনুকের মালা' বদল!

.