দেশভাগের স্মৃতি ফিরিয়ে ছিটমহল বিনিময়ে আজ নাগরিকত্ব পাবেন দুই বাংলার ৬৪,০০০ মানুষ
জীবনের কঠিনতম পরীক্ষার মুখে আজ কোচবিহারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফিরে আসতে চলেছে দেশভাগের সেই মুহূর্ত। কোচবিহারের ৩০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ৪১ বছর আগে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় করবে দুই দেশ। যেই অঞ্চলের ৫০,০০০ বাসিন্দা শুধুমাত্র নাগরিকত্ব থেকেই বঞ্চিত হননি, বঞ্চিত হয়েছেন সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫৫টি ছিটমহল আজ যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে। ১৪,০০০ মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন ভারতের।
ওয়েব ডেস্ক: জীবনের কঠিনতম পরীক্ষার মুখে আজ কোচবিহারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফিরে আসতে চলেছে দেশভাগের সেই মুহূর্ত। কোচবিহারের ৩০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ৪১ বছর আগে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় করবে দুই দেশ। যেই অঞ্চলের ৫০,০০০ বাসিন্দা শুধুমাত্র নাগরিকত্ব থেকেই বঞ্চিত হননি, বঞ্চিত হয়েছেন সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫৫টি ছিটমহল আজ যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে। ১৪,০০০ মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন ভারতের।
কোচবিহারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উলাগানাথন জানান, এই মানুষগুলোর কোনও ঠিকানা নেই। তাদের ঠিকানা দেওয়াই আমার প্রথম কাজ। তবে ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দা ৩৭,০০০ ভারতীয়র মধ্যে দেশে ফিরছেন মাত্র ৯৮০ জন। উলুগাথান মনে করেন, খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোনও দেশে দীর্ঘকাল বসবাসের ফলে সেখানকার সঙ্গেই একাত্ম বোধ করেন মানুষ। বাড়ি করেছেন, জমি কিনেছেন। গত ৬৮ বছর যে দেশে থেকেছেন সেখান থেকে অন্যদেশে আসার প্রশ্নই ওঠে না। যারা দেশে ফিরছেন তারা হতদরিদ্র।
অন্যদিকে, ১৪,০০০ বাংলাদেশি কাল থেকে হয়ে যাবেন ভারতীয়। যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের স্কুলে পড়তে পারেননি, পাননি বিদ্যুতের সুবিধাও।