#IStandWithFrance ফরাসী প্রেসিডেন্টের পাশে ভারতের নেটিজেনদের একাংশ

মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র শ্রেণিকক্ষে দেখানোয় শিক্ষকের মুণ্ড কেটে হত্যা করা হয় ফ্রান্সে।

Updated By: Oct 28, 2020, 06:43 PM IST
#IStandWithFrance ফরাসী প্রেসিডেন্টের পাশে ভারতের নেটিজেনদের একাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদন: মুসলিম বিশ্বের নিশানায় ফ্রান্স। ফরাসী পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিম সমাজ। ভারতে পাল্টা প্রচারে নামল নেটিজেনদের একাংশ। ইউটিউবে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সমর্থনে ট্রেন্ডিং করছে #IStandWithFrance। সন্ত্রাস দমনে মাকরেঁর পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন তাঁরা।

মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র শ্রেণিকক্ষে দেখানোয় শিক্ষকের মুণ্ড কেটে হত্যা করা হয় ফ্রান্সে। ওই ঘটনার পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ইমানুয়েল মাকরঁ। একাধিক মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। অন্তত ১২০টি জায়গায় চালানো হয়েছে তল্লাশি। কট্টর ইসলামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগে বেশ কিছু সংগঠন এবং সমিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফরাসী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে উঠেছে ইসলাম ভীতির অভিযোগ। মুসলিম বিশ্ব ফরাসী পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। তার পাল্টা ফ্রান্সের পাশে দাঁড়াল ভারতে নেটিজেনদের একাংশ। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র টুইট করেছেন, মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ভারতেও। 

আর এক বিজেপি নেতা তেজিন্দর সিং বাগ্গা টুইট করেছেন,'বাবর, ঔরঙ্গজেব থেকে তুঘলক, ঘোরি, তৈমুর থেকে আফজল কাসব- ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ভারতও।'  

কেউ লিখেছেন, গোটা বিশ্ব ইসলামিক সন্ত্রাসে ভুগছে। এনিয়ে মুখ খোলায় ধন্যবাদ প্রাপ্য ইমানুয়েল মাকরেঁর। ভারতীয় হিসেবে ফ্রান্সের পাশে আছি। ভারতও ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার। 

কেউ লিখেছেন, আমি ফ্রান্সের সঙ্গে আছি। 

কেউ লিখেছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের পাশে।   

বলে রাখি, ২০১৫ সালে ধর্মীয় ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছিল ফরাসী পত্রিকা শার্লি এবদো। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ওই ঘটনাটি শ্রেণিকক্ষে তুলে ধরেন শিক্ষক। তারপরই তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করে এক কট্টরপন্থী।

আরও পড়ুুন- ইসলাম নিয়ে কট্টর মনোভাব নিল ফ্রান্স

.