শ্বাসরোধ করে শিনাকে খুন করা হয়, কী ঘটেছিল সেদিন?
শিনা বোরার খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে ইন্দ্রাণী বোরার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে গ্রেফতার করল পুলিস। কলকাতায় সঞ্জীবকে জেরা করে মুম্বই পুলিসের এক বিশেষ দল। জেরার পরই তাকে গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক সম্পর্কের জেরে খুন মনে হলেও শিনার ভাই মিখাইলেনর বক্তব্য থেকে পুলিসের অনুমান পিটার মুখার্জির ছেলে রাহুলের সঙ্গে সিনার সম্পর্ক খুনে অনুঘটকের কাজ করেছে।
ওয়েব ডেস্ক: শিনা বোরার খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে ইন্দ্রাণী বোরার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নাকে গ্রেফতার করল পুলিস। কলকাতায় সঞ্জীবকে জেরা করে মুম্বই পুলিসের এক বিশেষ দল। জেরার পরই তাকে গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক সম্পর্কের জেরে খুন মনে হলেও সিনার ভাই মিখাইলেনর বক্তব্য থেকে পুলিসের অনুমান পিটার মুখার্জির ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক খুনে অনুঘটকের কাজ করেছে।
পিটার মুখার্জির প্রথম পক্ষের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার পরিচয় স্কুল থেকে। ২০০৫-০৬ সাল নাগাদ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। ঘটনার সময় তাদের সম্পর্ক ছিল ৭ বছরের পুরনো। তবে প্রথম থেকেই এই সম্পর্ক পছন্দ ছিল না ইন্দ্রাণীর।
কী ঘটেছিল সেদিন?
ইন্দ্রাণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে ঘটনার দিন রাহুলকে ফোন করেন ইন্দ্রাণী। মু্ম্বইয়ের বান্দ্রায় ন্যাশনাল কলেজের সামনে শিনাকে ছেড়ে যান রাহুল। সেখান থেকে শিনাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন ইন্দ্রাণী ও সঞ্জীব। গাড়িতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে। এরপর প্রায় ২ ঘণ্টা সিনার দেহ নিয়েই গাড়িতে ঘোরেন তারা। অবশেষে রায়গড়ে এক জঙ্গলে গাড়ির চালকের সাহায্যে পেট্রোল ঢেলে শিনার দেহ পুড়িয়ে দেন তিনি। সিনার হঠাত্ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন রাহুল। গাড়ির চালকের বয়ান অনুযায়ী তল্লাসি চালিয়ে রায়গড়ের জঙ্গলে সিনার দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে পুলিস।
বুধবার ইন্দ্রাণীকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়। আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত তাকে পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।