G20 Summit India| Global Biofuels Alliance: সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্যে? জি২০-তে মোদীর নেতৃত্বে তৈরি 'বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট'...
G20 Summit India| Global Biofuels Alliance: প্রগতি ও মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার প্রচেষ্টা জারি থাকা জরুরি। জৈব জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক জোটবদ্ধতা এরই প্রমাণ। কিন্তু কেন ইথানল? ইথানল আসলে তৈরি হয় আখ থেকে। পুরোপুরি জৈব। পেট্রোল, ডিজেল কিংবা প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে ইথানল তাই যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে জি২০-র আসরে তৈরি হয়ে গেল এক জোট। তার পোশাকি নাম 'গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্স' (Global Biofuels Alliance); বাংলায় বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট। জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জোট গঠনের কথা ঘোষণা করেন। এই জোটের প্রাথমিক লক্ষ্য পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মিশিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করা।
পেট্রোলের সঙ্গে ২০ শতাংশ ইথানল মেশালে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি দূষণের মাত্রাও কমবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় কিছুটা সহায়ক হবে। পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর কর্মসূচি অবশ্য ভারত আগেই গ্রহণ করেছে। এবার মোদী চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্য দেশের সহযোগিতায় ভারত একযোগে এই কর্মসূচি বিশ্ব-পর্যায়ে সফল করুক। আর তারই প্রথম পদক্ষেপ সূচিত হল জি২০ আসরে।
প্রধানমন্ত্রী এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে নিয়ে। তবে এই চার দেশ ছাড়াও এই জোটে রয়েছে আর্জেন্তিনা, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে স্থায়ী উন্নয়ন-প্রচেষ্টার লক্ষ্যে তৈরি এই জোট এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণের সূচক হয়ে রইল। পেট্রোলের সঙ্গে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো বিশ্বপর্যায়ে শুরু করা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।
কেন ইথানল?
ইথানল তৈরি হয় আখ থেকে। পুরোপুরি জৈব। পেট্রল, ডিজেল কিংবা প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে ইথানল তাই যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। 'গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সে'র সদস্যদেশগুলি আখ উৎপাদন বাড়িয়ে সেই পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারবে, এমনটাই প্রস্তাব ভারতের। তবে শুধু ইথানল নয়, জৈব জ্বালানির আরও কয়েকটি উপায়ও রয়েছে ভারতে-- গোবর গ্যাস বা কম্পোস্ট জ্বালানি।
প্রগতি ও মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার প্রচেষ্টা জারি থাকা জরুরি। জৈব জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক জোটবদ্ধতা এরই প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, জি২০ সম্মেলন চলা কালেই হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, দূষণমুক্ত শক্তি বাইডেন প্রশাসনেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: G20 Summit: পরবর্তী সম্মেলন কোথায়? কার হাতে জি২০-র সভাপতিত্ব তুলে দিলেন মোদী?
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে 'জিরো এমিশন'ই লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে জৈব জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ সালের মধ্যে তিন গুণ বাড়াতে হবে। আর সেই লক্ষ্য পূরণে আজকের ভারত তথা মোদীর এই পদক্ষেপ একটা বড় অগ্রগতির সূচনা হয়ে রয়ে গেল।