৪০ মিনিটে দূর্গা সাসপেন্ড করানোর দাবি করলেন সপা নেতা
উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আইএএস দূর্গা শক্তি নাগপালের সাসপেনশন বিতর্ক নয়া মোড় নিল। ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও অখিলেশ যাদবের সরকারকে ফের আর একবার প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। এই ভিডিওতে সমাজবাদী পার্টির এক ডাকসাইটে নেতা দাবি করেছেন মাত্র ৪০মিনিটে তিনিই দূর্গাকে সাসপেন্ড করিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আইএএস দূর্গা শক্তি নাগপালের সাসপেনশন বিতর্ক নয়া মোড় নিল। ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও অখিলেশ যাদবের সরকারকে ফের আর একবার প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। এই ভিডিওতে সমাজবাদী পার্টির এক ডাকসাইটে নেতা দাবি করেছেন মাত্র ৪০মিনিটে তিনিই দূর্গাকে সাসপেন্ড করিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের সপা নেতা নরেন্দ্র ভাটি উত্তর প্রদেশের `অ্যাগ্রো ইনডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন`-এর চেয়ারম্যানও। শুধু তাই নয় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গৌতম বুদ্ধ নগরে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীও।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ভাটি গ্রেটার নয়ডাতে তাঁর চেলা চামুন্ডাদের বলছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও তাঁর বাবা সপা সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবকে ফোন করে দুর্গা শক্তি নাগপালের সাসপেনশনের কথা বলেন। ওই ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ভাটি দাবি করেছেন তাঁর ফোন পাওয়ার ৪০ মিনিটের মধ্যে সাসপেন্ড করা হয় দূর্গাকে।
দূর্গা শক্তির সাসপেনশনের পর সারা দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন অখিলেশ যাদব। উত্তরপ্রদেশের আইএএস অফিসাররা সমবেত ভাবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দূর্গা শক্তির কঠিন মনোভাবের কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, সাসপেনশনের আগের দিনই দূর্গা নাগংতবালি মাফিয়াদের তিনটি লড়ি আটক করেছিলেন।
কিন্তু গতকালই বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের সপক্ষে মুখ খোলেন অখিলেশ যাদব। স্পষ্ট জানান ওই আইএএস অফিসারকে সাসপেনশন সঠিক সিদ্ধান্ত। অখিলেশ দাবি করেন কাডালপুর গ্রামে একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন দূর্গা। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সেই কারণেই দূর্গাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি করেন মুলায়ম পুত্র।
কিন্তু গৌতম বুদ্ধ নগরের ডিসট্রিক্ট ম্যাজিসট্রেট তাঁর রিপোর্টে পরিষ্কার জানিয়েছেন কোনও ধর্মীয় স্থাপত্য ভাঙার নির্দেশ দূর্গা নাগপাল দেননি। বরং গ্রামবাসীরা নিজেরাই ওই মসজিদের দেওয়াল ভেঙে ফেলেছেন।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দূর্গা নাগপাল গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন সরকারী জমিতে কোনও ধরনের ধর্মীয় স্থাপত্য তৈরি করতে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন।