মোতিলাল থেকে প্রিয়ঙ্কা, ১০০ বছরে কীভাবে কংগ্রেসের নেতৃত্ব চলে গেল গান্ধী পরিবারের হাতে?

পরিবার-রাজনীতির এই ধারার সূত্রপাত আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন মোতিলাল নেহরু>

Updated By: Jan 24, 2019, 11:34 PM IST
মোতিলাল থেকে প্রিয়ঙ্কা, ১০০ বছরে কীভাবে কংগ্রেসের নেতৃত্ব চলে গেল গান্ধী পরিবারের হাতে?

নিজস্ব প্রতিবেদন: একশো বছর আগে গ্র্যান্ড ট্র্যাডিশনটা শুরু হয় তাঁর ঠাকুমার দাদুর হাতে! তারপর একে একে ঠাকুমা-বাবা-কাকা-মা-কাকিমা-দাদা সক্কলে সেই পরম্পরা বজায় রেখেছেন। এবার ট্র্যাডিশন রক্ষা করে কংগ্রেসের উচ্চাসনে বসলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মোতিলাল থেকে প্রিয়াঙ্কা, একশো বছরের ইতিহাসে গান্ধীর পরিবারই কংগ্রেসের চালিকাশক্তি। 

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন ভারতীয় রাজনীতির 'ফার্স্ট ফ্যামিলি'র আরও এক প্রতিনিধি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। স্বাধীনতার আগে এবং পরে কংগ্রেসের শীর্ষ আসনে বংশপরম্পার বসেছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। আরও একটু খুলে বললে, স্বাধীনতার পরের ৪০ বছর কংগ্রেসের রাশ থেকেছে এই গান্ধী পরিবারের হাতেই। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন। 

পরিবার-রাজনীতির এই ধারার সূত্রপাত আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন মোতিলাল নেহরু। ২০১৯ সালে একশো বছর পর রাজনীতিতে অভিষেক মোতিলালের নাতনির নাতনি প্রিয়ঙ্কার। মোতিলাল নেহরু থেকে প্রিয়ঙ্কা-এই ১০০ বছরে গান্ধী পরিবারের মোট ১১ জন সদস্য রাজনীতির মঞ্চে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন তিন-জন। 

১৯১৯-- কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হন মোতিলাল নেহরু।

১৯২৯-- কংগ্রেস সভাপতি হন মোতিলালের ছেলে জওহরলাল নেহরু। 

১৯৫২-- রায়বরেলি থেকে সাংসদ হন ফিরোজ গান্ধী।

১৯৫৯-- জওহরলাল-কন্যা ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ পান।

১৯৮০-- আমেঠির সাংসদ হন ইন্দিরার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী।

১৯৮১-- ইন্দিরার বড় ছেলে রাজীব গান্ধী আমেঠির সাংসদ হন।

১৯৮৪-- আমেঠিতে রাজীবের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন সঞ্জয়ের স্ত্রী মানেকা গান্ধী।

১৯৯৮-- কংগ্রেস সভাপতি হন সোনিয়া গান্ধী।

২০০৪-- আমেঠির সাংসদ হন রাজীব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধী।

২০০৯-- পিলিভিটের সংসদ হন সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণ গান্ধী।

২০১৯--কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হলেন রাজীবের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা।

আরও পড়ুন- এবিপি ও ইন্ডিয়া টুডে- দুই সমীক্ষাতেই ত্রিশঙ্কু লোকসভার আভাস, কিংমেকার আঞ্চলিক দলগুলি

বিশ্বের আর কোনও দেশে এমন নজির নেই। দাদু-ঠাকুমা-বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে, সকলেই রাজনীতির তারকা! পরম্পরা মেনে এবার প্রিয়ঙ্কাও এলেন। তবে কাজে নামার আগেই পরিবার-ভাগ্যে তিনি সেলিব্রিটি। কংগ্রেসর রাশ এবার ভাই-বোনের হাতে। প্রশ্ন একটাই, মস্ত এই 'ফ্যামিলি ট্র্যাডিশনের' প্রত্যাশার চাপ ইন্দিরার নাতনি নিতে পারবেন তো? 

আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস নয়, শাসককে ধাক্কা বিজেপির, বলছে জনমত সমীক্ষা

.