টাকার দামের অধোগতি, সূচকের পতন, সংসদে সাফাই অর্থমন্ত্রীর
ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময় মূল্যে রেকর্ড পতনের জেরে ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাজারে। বুধবার টাকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিম্নমুখী ছিল শেয়ার বাজারের সূচকও। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকার পতন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা কাজে লাগেনি। এ ব্যাপারে রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময় মূল্যে রেকর্ড পতনের জেরে ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাজারে। বুধবার টাকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিম্নমুখী ছিল শেয়ার বাজারের সূচকও। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকার পতন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা কাজে লাগেনি। এ ব্যাপারে রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে প্রণববাবু জানিয়েছেন, মুলত ইউরোজোনের সঙ্কট নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই এশিয়ার বাজারে প্রভাব পড়েছে। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে এখনই উদ্বেগের কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও সরকারি কোষাগারের হাল ফেরাতে কিছুটা ব্যয়সংকোচের পথে হাঁটার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
একদিকে টাকার বিনিময় মূল্যের রেকর্ড পতন, অন্যদিকে শেয়ার বাজারের নিম্নমুখী সূচক। আর এই দুই জোড়া অভিঘাতে ফের দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বুধবার টাকার দামের রেকর্ড পতন হয়েছে। ডলারের তুলনায় টাকার বিনিময় মূল্য ৬৭পয়সা কমে, ৫৪ টাকা ৩২ পয়সায় দাঁড়ায়। গত ৫ বছরের মধ্যে এটাই টাকার সবচেয়ে কম মূল্য। বিষয়টি নিয়ে শুধু শিল্প-বাণিজ্য মহলই নয়, উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। রাজ্যসভায় এই ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকেও। টাকার এই রেকর্ড পতনের জন্য মূলত আন্তর্জাতিক সঙ্কটকেই দায়ী করেছেন তিনি।
গত ১২ জানুয়ারির পর বুধবারই প্রথম সেনসেক্স একটা সময় ১৬,০০০-এরও নিচে নেমে যায়। নিফটিও ছিল নিম্নমুখী। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, ইউরোজোনে অনিশ্চয়তার জন্য এশিয়ার বাজারেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের বিশেষ কারণ নেই বলেই মনে করেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস সাংসদ। পাশাপাশি এই অস্থিরতা ঠেকাতে কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ জরুরি বলেও জানান তিনি। প্রণববাবুর অভিযোগ, আর্থিক সংস্কারের অভাবেই দেশের বাজারে বিদেশি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ থমকে গিয়েছে। অন্যদিকে বণিক মহলের মতে, জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা কাটিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সংস্কারের ক্ষেত্রে কতটা সাহসী হতে পারেন, তার ওপরই নির্ভর করছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি।