ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি : দীনেশ ত্রিবেদী
টানা ৫ দিনের যাবতীয় জল্পনার অবসান। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে শেষমেশ ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদীর। সোমবার সকালে রেলভবনে গিয়ে রেলবোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ত্রিবেদী। রেলভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, তিনি রবিবারই ইস্তফা দিয়েছেন।
টানা ৫ দিনের যাবতীয় জল্পনার অবসান। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে শেষমেশ ইস্তফাই দিলেন দীনেশ ত্রিবেদীর। সোমবার সকালে রেলভবনে গিয়ে রেলবোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ত্রিবেদী। রেলভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, তিনি রবিবারই ইস্তফা দিয়েছেন।
এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, রেলমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য তাঁর ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অপরদিকে রেলমন্ত্রীর ইস্তফা ইস্যুতে সোমবার শুরুতেই উত্তাল হয় সংসদ। সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পিছনে একটা নাটক কাজ করছে। রেলমন্ত্রী ইস্যুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, রবিবারই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করেছেন। পরবর্তী রেলমন্ত্রী হচ্ছেন মুকুল রায়। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার পর্যন্ত কংগ্রেসকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, রবিবার সকালে দীনেশ ত্রিবেদী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ না পেলে তিনি ইস্তফা দেবেন না।
কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে রবিবারই দিল্লি রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম বিমানবন্দরে তিনি জানান, দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী।
তৃণমূল নেত্রী দিল্লি পৌঁছোনোর আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইস্তফা দিতে রাজি বলে জানিয়ে দেন দীনেশ ত্রিবেদী। গত কয়েকদিনে বারেবারেই দলের স্বার্থের আগে রেলের কথা, দেশের কথা বলতে শোনা গেছে দীনেশ ত্রিবেদীকে। রবিবার রাতে যদিও তাঁর বক্তব্য, দলের অনুগত সৈনিক হিসাবেই থাকতে চান তিনি। আর রেলমন্ত্রীর হঠাত্ সুর নরমের বিষয়টি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিষয়টিকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস।