কংগ্রেসকে চরমসীমা তৃণমূলের

রেলমন্ত্রীর ইস্তফা বিতর্কে ইউপিএ ও জোটশরিক তৃণমূল কংগ্রেসের স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে রেলমন্ত্রীকে অপসারণের জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত চরমসীমা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় জোট ছাড়ার পথেই হাঁটবে তৃণমূল। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এই খবর মিলেছে।

Updated By: Mar 18, 2012, 01:06 PM IST

রেলমন্ত্রীর ইস্তফা বিতর্কে ইউপিএ ও জোটশরিক তৃণমূল কংগ্রেসের স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে রেলমন্ত্রীকে অপসারণের জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত চরমসীমা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় জোট ছাড়ার পথেই হাঁটবে তৃণমূল। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, সোমবারের মধ্যে রেলমন্ত্রী অপসারণ প্রষনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে রবিবারে সন্ধেয় দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে যাচ্ছেন মুকুল রায়ও। সোমবার রাতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তৃণমূল সুপ্রিমোর।
এর পাশাপাশি, তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের সব সাংসদদের সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে দিল্লিতে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রেল বাজেট নিয়ে দীনেশ-মমতা দ্বন্দ্ব শুরু হতেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। রেল বাজেটে যাত্রিভাড়া বাড়ানোয় ও রেল "আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে" বলে মন্তব্য করায় বেজায় চটেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর রেলমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসে মুকুল রায়ের নাম। তবে প্রথম থেকেই দীনেশ জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী অথবা দলনেত্রীর লিখিত নির্দেশ ছাড়া পদত্যাগ করবেন না তিনি। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই দীনেশকে লিখিত নির্দেশ দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার আরও এক কদম এগিয়ে রেলমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিতে বললে, তবেই তিনি ইস্তফা দেবেন বলে রবিবার জানিয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী বলেন, "রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।" পাশাপাশি রেলের যাত্রিভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে এখনও তাঁর অবস্থান অনড় বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিবেদী জানান, রেলের সার্বিক উন্নতির জন্য স্থায়ী দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন ছিল। তিনি সেই মতোই এগিয়েছেন। কোনও ব্যক্তি বা দলকে খুশি করার জন্য তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ''গোটা দেশ আমাকে যে ভাবে সমর্থন করছে, তাতে আমি অভিভুত। রেলকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।'' একই সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ত্রিবেদী।
দীর্ঘদিন ধরেই রেলের লাগামছাড়া খরচ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বামেরা। রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একের পর এক ট্রেনের উদ্বোধন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং তার বিজ্ঞাপনে ঢালাও খরচের জেরে বারবারই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে রেল। বিশেষত রেলের ভাঁড়ার যখন কার্যত শূন্য। এবার সেই কথা শোনা গেল রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর গলায়। একই সঙ্গে ইস্তফার বিষয়ে নিজের অবস্থান থেকে রবিবারও এতটুকুও সরলেন না তিনি।

.