রাষ্টসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে বাক্‌যুদ্ধে জড়ালেন জারদারি-কৃষ্ণা

রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর নিয়ে আসিফ আলি জারদারির মন্তব্যের সাফাই দিতে পুরোদমে আসরে পাকিস্তান। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার প্রেসিডেন্টকে লিখিত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা বলেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে জারদারির মন্তব্য অনভিপ্রেত। পাকিস্তানের পাল্টা দাবি সত্ত্বেও পূর্ব অবস্থানে অনড় ভারত।

Updated By: Oct 2, 2012, 10:30 PM IST

রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর নিয়ে আসিফ আলি জারদারির মন্তব্যের সাফাই দিতে পুরোদমে আসরে পাকিস্তান। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার প্রেসিডেন্টকে লিখিত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা বলেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে জারদারির মন্তব্য অনভিপ্রেত। পাকিস্তানের পাল্টা দাবি সত্ত্বেও পূর্ব অবস্থানে অনড় ভারত। বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, জারদারি অপ্রত্যাশিতভাবে রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুকে টেনে এনেছিলেন। তাই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করা জরুরি ছিল।
বিতর্কের কেন্দ্রে সেই কাশ্মীর। আর এই ইস্যুতেই ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপানউতোরের জেরে উত্তপ্ত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা। শুরুটা করেছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণে পাক প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রসংঘের ব্যর্থতার প্রতীক। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে পাক প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য যে ভারত মেনে নেবে না তা জানাই ছিল। সোমবার তাঁর ভাষণে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে এভাবে কাশ্মীরের উল্লেখ অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
  
বরাবরই কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে সক্রিয় পাকিস্তান। এবারেও জারদারি কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে শুরুটা করেছিলেন।  হাওয়া গরম করতে পুরোদমে আসরে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। বিদেশমন্ত্রীর ভাষণের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার প্রেসিডেন্টের কাছে পাক রাষ্ট্রদুতের লিখিত দাবি, জারদারির মন্তব্য কখনই অনভিপ্রেত নয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বক্তব্য জম্মু ও কাশ্মীর কখনই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। পাকিস্তানের এই তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে কৃষ্ণা জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে জরদারির মন্তব্য অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে পাক শীর্ষ নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক মঞ্চে এধরনের মন্তব্য করলে, ভারতের অবস্থানটা স্পষ্ট করে দেওয়াটা জরুরি। তিনি সেটাই করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে এই কূটনৈতিক চাপানউতোর ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন এস এম কৃষ্ণা।

.